অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে পরামর্শ

আজ বিশ্ব অস্টিওপরোসিস দিবস। অস্টিওপরোসিস হলে হাড় ক্ষয় হয়ে গিয়ে একেবারে ভঙ্গুর হয়ে যায়। নীরবে এই রোগ শরীরের ক্ষতি করে।
অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৮২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক জোনাইদ শফিক। বর্তমানে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে পেইন মেডিসিন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে করণীয় কী?
উত্তর : ২০ থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড় বৃদ্ধি পায়। ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়টা প্ল্যাটো থাকে। ৪০ থেকে পয়তাল্লিশের সময় এটি নামতে থাকে। আসলে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, কৃত্রিম থাকুক অথবা প্রাকৃতিক থাকুক। এই বয়সে শাকসবজি, মাছ, মাছের কাটা, সামুদ্রিক মাছের কাটা, ছোট মাছের কাটা, ডিম, কলা, পুঁইশাক, পালং শাক এগুলো বেশি করে খেতে হবে। আর আমরা যখন প্ল্যাটোতে থাকব, নিয়মিত দুধ খাব। তখন যেন সবাই দুধ খায়। ডিম সপ্তাহে প্রতিদিনই খাবেন। সাদাটা প্রতিদিন খাবেন, লালটা তিন-চারদিন খাবেন। প্রতিদিন একটি কলা খেতে চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি ব্যায়াম করবেন। আপনি যদি হাড় মজবুত রাখতে চান, ব্যায়াম করবেন, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিবেন। যখনই পঞ্চাশের কাছাকাছি চলে যাবেন তখন কিন্তু এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম লাগবে। ৬০০ আইইউ ভিটামিন লাগবে। এই বিষয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবারদাবার খেতে হবে। সঙ্গে ব্যায়াম করতে হবে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চিকিৎসার ৯০ ভাগ কিন্তু ব্যায়ামের মাধ্যমে সেরে যাবে। ১০ ভাগ হলো ওষুধ আর চিকিৎসকের পরামর্শ।