বিশ্ব ক্যানসার দিবস : ‘আমরা পারি, আমি পারি’

আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। এই দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘আমরা পারি, আমি পারি’। ব্যক্তি ও সমাজের মিলিত পদক্ষেপে ক্যানসার প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন- এই ভাবনা থেকেই এই স্লোগানটিকে এ বছরও প্রতিপাদ্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে ক্যানসারের প্রকোপ ও ভয়াবহতা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ক্যানসার পরিস্থিতি বলা যায় খুবই ভীতিকর। প্রতিবছর এক দশমিক দুই কোটি নতুন রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে দুই কোটি। ২০৩০ সালের মধ্য এই সংখ্যা আরো বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ক্যান্সার বিষয়ক সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। সামাজিক ট্যাবু, অসচেতনতা, চিকিৎসা সুবিধার অপ্রতুলতা, উচ্চ ব্যয় ইত্যাদি ক্যানসার চিকিৎসাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বেড়ে যাচ্ছে ক্যানসারের প্রকোপ ও ভয়াবহতা।
শুধু সামাজিক সচেতনতা ও প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যনসার শনাক্তকরণের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে এর হার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশের নারীরা যে দুটি ক্যনসারে বেশি ভোগে সেগুলো হলো- জরায়ু মুখের ক্যানসার ও স্তন ক্যনসার। পুরুষের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসার। তিনটি ক্যানসারই সচেতনতা ও প্রাথমিক শনাক্তকরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করণ, ধূমপান বর্জন করে এই ক্যান্সারগুলোর প্রবণতা অনেকখানিই কমিয়ে ফেলা যায়।
তাই সবার সচেতন অংশ গ্রহণ প্রয়োজন। নিজে জানতে হবে, অপরকেও জানাতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই মৃত্যুদূতকে ঠেকাতে চাইলে।
লেখক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়