বিশ্ব কণ্ঠ দিবস : ‘আপনার পছন্দ হোক, কণ্ঠস্বরের লালন-পালন’

আজ বিশ্ব কণ্ঠ দিবস। দিবসটি কেন্দ্র করে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৫৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মনজুরুল আলম। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের ইউনিটপ্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিশ্ব কণ্ঠ দিবস আজ। এটি নিয়ে কেন এত সোচ্চার হচ্ছি সবাই?
উত্তর : আসলে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস, প্রথম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। ব্রাজিলিয়ান সোসাইটি অব ভয়েজ, তারা প্রথম শুরু করে। পরে ২০০২ সালে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ল্যারিংগোলজি (এটাও একটি ভয়েজ সোসাইটি) এটা সমর্থন করে। সারা বিশ্বে এরা কণ্ঠস্বরের যত্ন এবং কণ্ঠস্বর ভঙ্গে প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করে এবং যারা প্রফেশনাল ভয়েজ ইউজার, তাদের সতর্ক করে এবং কণ্ঠস্বর নষ্ট হয়ে গেলে তার পুনর্বাসনের চিন্তাভাবনা করে। এবং এগুলোর বিষয়ে গবেষণাভিত্তিক আলোচনার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য ১৬ এপ্রিল বিশ্ব কণ্ঠ দিবস পালন শুরু করে।
প্রশ্ন : কণ্ঠ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য কী?
উত্তর : এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেক দ্য চয়েজ টু চিয়ার্স ইউর ভয়েজ’। মানে, আপনার পছন্দ হোক, কণ্ঠস্বরের লালন-পালন।
একটি শিশু যখন পৃথিবীতে এলো, তার প্রথম শব্দ হলো কান্না। কান্না দিয়ে শুরু হলো। এই কান্না কিন্তু শুধু কান্না নয়, কান্নাটা পৃথিবীতে তার আগমন। সন্তান মায়ের কাছে একটি বিশাল সম্পদ। তার পরিবারের কাছে একটি প্রতিনিধি হিসেবে এলো। চিকিৎসকের কাছে এই কান্নাকে মনে হলো আপাতত একটি সুস্থ শিশু।
এরপর বাচ্চার জন্মের পর শুরু হয়ে গেল স্বরের প্রতিপালন। তার সঙ্গে মা-বাবা যেভাবে কথা বলবে, ওই বাচ্চা সেটি শিখবে এবং সেই ভাষায় কথা বলবে। তাহলে বাল্যকাল থেকেই যদি আমরা যত্ন নিই, তাহলে সে অত্যন্ত সুন্দর স্বরযন্ত্র পাবে।