খাবার থেকে অ্যালার্জি : প্রতিরোধে পরামর্শ
অনেকের খাবার থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। তবে সব খাবারেই যে সবার অ্যালার্জি হয়, বিষয়টি এমন নয়। খাবারের অ্যালার্জির বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১১৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : খাবারে অ্যালার্জির বিষয়ে কী পরামর্শ থাকবে?
উত্তর : সাধারণত সতেজ খাবারে অ্যালার্জি কম হয়। যখন ফ্রোজেন বা প্রিজার্ভ হয়, তখন অ্যালার্জি হয়ে যায়।
অনেকের দেখা গেল ইলিশ মাছ বাজার থেকে এনে রান্না করে খেল। কোনো অ্যালার্জি নেই। আবার অনেকের দেখা গেল ফ্রিজে রেখেছে, প্রিজারভেটিভ বা অ্যাডিটিভ অ্যাড হচ্ছে সেটি অ্যালার্জির কারণ হচ্ছে। সাধারণত তার ইলিশ মাছে অ্যালার্জি নেই, তবে এটি যখন ফ্রিজে থাকছে এবং প্রিজার্ভ হচ্ছে তখন অ্যালার্জি হচ্ছে। এ রকম ইলিশ মাছের মতো গরুর মাংস বা অন্যান্য খাবার থেকে হতে পারে। আর কিছু খাবারই রয়েছে,যেগুলো থেকে অ্যালার্জি হয়, যেমন সি ফুড। চিংড়ি মাছ, লবস্টার এগুলো থেকে অ্যালার্জি হয়। পিনাট, বাদাম এগুলো থেকে অ্যালার্জি হয়। এগুলোতে অ্যালার্জির পরিমাণ বেশি। যারা জানি, এই খাবারগুলোতে আমাদের অ্যালার্জি, আমরা এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাব।
আর এক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে, আমরা খাবারের জন্য করে ফেলি। একে বলে রাস টেস্ট। রক্ত নিয়ে করে ফেলি। ওখানে নির্দিষ্ট করে বোঝা যায়, কোন খাবারে তার অ্যালার্জি রয়েছে। তখন সে ওই নির্দিষ্ট খাবারকে এড়িয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন : এটি কী আমাদের দেশে আপনারা করছেন?
উত্তর : হ্যাঁ, আমাদের দেশে আমরা করছি। অনেক ল্যাবেই করছি। আর ফুড অ্যালার্জি ও ফুড ইনটলারেন্সের মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। অনেকেই ভাবেন, আমার অ্যালার্জি হয়েছে, আমি কিছুই খাব না। এখানে খাবারের ইনটলারেন্স আমাদের হজম পদ্ধতির ওপর প্রভাব ফেলে। আর যখন ফুড অ্যালার্জি হয়, তখন প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রশ্ন : পরিবেশ দূষণ বা ওষুধে অ্যালার্জি সম্পর্কে একটু বলুন?
উত্তর : আমরা যে পরিবেশে বাস করছি, এর প্রতিটি উপাদান দূষিত হচ্ছে। এই কারণে অ্যালার্জির পরিমাণ কমে গেছে। পরিবেশগত অ্যালার্জির পাশাপাশি বলতে পারি ঋতুগত অ্যালার্জি। আমাদের ষড়ঋতুর দেশ। প্রতিটি ঋতুতে অ্যালার্জি হয়। গরমে যে অ্যালার্জি হয়, সেটি যে বর্ষাকালে হবে না, সেটি নয়। একেকটি ঋতুতে একেকটি অ্যালার্জি। গ্রীষ্মে হিট র্যাশ বা পলিমরফিক অ্যালার্জি দেখা দেয়। সোলার আর্টিকেরিয়া হয়। বর্ষায় পোকা -মাকড় থেকে অ্যালার্জি দেখা দেয়। স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়ায় মোল্ড তৈরি হয় নানা রকম। শরতে বা বসন্তে ফুল ফোটে, এখানে পোলেন অ্যালার্জি বেশি হয়। আর শীতকালে বেশি দেখা দেয় ধুলার অ্যালার্জি।