কোরবানির ঈদে শিশুদের খাবার যেমন হবে
ঈদ মানে খুশি আর আনন্দ এবং বাড়তি খাবারের ছড়াছড়ি। তাই ঈদের দিনগুলোতে শিশুদের জন্য নিতে হবে বাড়তি যত্ন। শিশুদের ক্ষেত্রে ঈদে সুস্থ থাকার জন্য চাই পরিমিত ও নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ। ঈদে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং বেশি বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
ঈদে শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন হবে :
১. ঈদ আনন্দে হঠাৎ করে শিশুদের বেশি খাবার খেতে দেবেন না। এক খাবার থেকে অন্য খাবারের মধ্যে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিরতি দিতে হবে।
২. শিশুদের খাবারে ক্ষতিকর রং, লবণ, ঘি, বাটার, পাম অয়েল ব্যবহার করবেন না। কারণ, এগুলো শিশুদের স্বাভাবিক হজম, বিপাক ক্রিয়াকে নষ্ট করে।
৩. শিশুরা যেহেতু মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে, তাই শিশুদের জন্য চিনি কম ব্যবহার করে মিষ্টিজাতীয় খাবার রান্না করুন। এতে চিনি থেকে হওয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে।
৪. শিশুদের কম চর্বিজাতীয় খাবার খেতে দিন।
৫. শরীরের প্রোটিনের দরকার অনুসারে মাংস খেতে দিন এবং মাংসের সঙ্গে বেশি করে আঁশযুক্ত শাকসবজি খেতে দিন।
৬. শিশুদের খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে টমেটো, শসা, লেবু, কাঁচামরিচ খেতে দেবেন। ঈদের দিনগুলোতে শিশুদের দেশি ফ্রেশ ফল খেতে দিতে ভুলবেন না।
৭. শিশুদের বাজারের প্রচলিত কোমল পানীয় দেবেন না। কারণ, এ ধরনের পানীয় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিকল্প হিসেবে বাসায় বানানো দেশি ফল, ডাবের পানি ও লেবুর শরবত খেতে দিন।
৮. শিশুদের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য টক দই খেতে দিন। পাশাপাশি খেলাধুলা করার সুযোগ দিন।
৯. ঈদ আনন্দে শিশুদের বাইরে ঘোরাঘুরির সময় অবশ্যই বিশুদ্ধ খাবার পানি সঙ্গে রাখুন। বাসায় বানানো খাবার খেতে শিশুকে উৎসাহিত করুন।
লেখক : সভাপতি, বিশুদ্ধ খাদ্য চাই এবং সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার।