চকলেট যখন ওষুধ!
যুক্তরাষ্ট্রের একটি চকলেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বিশেষ ভেষজ পদ্ধতিতে একটি নতুন ধরনের ‘মেডিসিনাল’ চকলেট আবিষ্কার করেছেন, যেখানে ৩৫ শতাংশ চর্বি থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে এই তথ্য।
কোকো চকলেটের প্রধান উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও মিনারেল, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি স্নায়ু পদ্ধতিকে রক্ষা করে, স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমায়। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, চকলেট খুব স্বাস্থ্যকর, এটা ওষুধ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
কোকো খুব তেতো স্বাদের হয়। তাই বিভিন্ন চকলেট প্রতিষ্ঠান এতে চর্বি এবং চিনি দিয়ে মিষ্টি স্বাদের করে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক ফার্ম কুকা স্কোকো আবিষ্কার করেছে এই নতুন ধরনের কম তেতো চকলেট, যা ভেষজ ওষুধ হিসেবে বলিভিয়া, পেরু, আনডিন অঞ্চলে সামান্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এক ধরনের উদ্ভিদের নির্যাস ব্যবহার করলে চকলেটের তেতোভাব কমে যাবে। এতে কোকোতে চিনি ব্যবহার করা লাগবে না। তবে এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ চর্বি যোগ করা হবে।
কুকা স্কোকোর প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান গবেষক গ্রেগরি আহারোনিয়ান বলেন, ‘কোকোর মধ্যে চর্বি, সুইটনার এবং চিনির ব্যবহার চিকিৎসার সুবিধা কমিয়েছে। এই অস্বাস্থ্যকর জিনিসগুলো চকলেট থেকে বাদ দেওয়া গেলে এটি ওষুধ হিসেবে আরো ভালোভাবে খাওয়া যাবে।’
প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে চকলেটে কেবল ১০ শতাংশ চর্বি ও চিনি রাখতে চায়। চিনি হচ্ছে নেশার মতো জিনিস আর সুইটনার ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং আরো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।
গ্রেগরি আহারোনিয়ান আরো বলেন, ‘কেবলমাত্র এই চর্বি এবং চিনিগুলোকে বাদ দিলে চকলেট বাণিজ্য অনেক লাভবান হতে পারে।’