খুশকিরোধী একই শ্যাম্পু কি সবসময় ব্যবহার করা ঠিক?
খুশকি চুলের একটি রোগ। সাধারণত ত্বকের শুষ্কতা, শুষ্ক আবহাওয়া, ফাঙ্গাসের সংক্রমণ, চুলের পরিচ্ছন্নতার অভাব, যত্নের অভাব, শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর ভালোভাবে না ধোয়া, ত্বকের রোগ সেবোরিক ডার্মাটাইটিস ইত্যাদি কারণে খুশকি হয়।
খুশকি হলে অনেকে নিজে নিজে দোকান বা ফার্মেসি থেকে কিনে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি বা এক ধরনের শ্যাম্পু মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর ব্যবহার করেন। এটি কি ঠিক?
এ বিষয়ে কথা হয় শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগে পরামর্শক ডা. তাওহীদা রহমান ইরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো অ্যান্টিডেনড্রাফ বা খুশকিরোধী শ্যাম্পু মাসের পর মাসে ব্যবহার করা ঠিক না। অনেক সময় খুশকিরোধী শ্যাম্পুগুলোতে জিংক থাকে। বছরের পর বছর একই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে সেই জিংক ত্বক শুষে নেয়। এতে শরীরে জিংকের আধিক্য হয়। আবার কিটোকোনাজল জাতীয় ওষুধগুলো ফাঙ্গাসরোধী। এগুলোও বছরের পর বছর ব্যবহার ঠিক নয়।’
যাদের খুশকি রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন জানিয়ে ডা. তাওহীদা রহমান বলেন, ‘খুশকির ক্ষেত্রে নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে কিনে এক শ্যাম্পু দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। যাদের সবসময় খুশকি হয়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, চিকিৎসকের ফলোআপে থেকে বদলে বদলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।’
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. তাওহীদা রহমান বলেন, ‘খুশকি কমাতে চুল সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং অসুখের কারণে খুশকি হলে এর চিকিৎসা করতে হবে। এ ছাড়া খুশকি কমাতে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।’
মূলত, যেসব কারণে খুশকি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে বলে পরামর্শ তাঁর।