যে খাবার ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করবে
কিছু ঘরোয়া খাবার রয়েছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে রোগ নিরাময়কারী উপাদান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই খাবারগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুব দ্রুত নিরাময় ঘটায়।
তবে যদি ক্যানসারের মতো বিষয় হয় তবে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাই ভালো। আর যদি প্রতিরোধের বিষয় আসে তবে কিছু ঘরোয়া দাওয়াই রয়েছে যেগুলো রোগটিকে প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এর মধ্যে একটি চমৎকার খাবার হলো রসুন।
ফুসফুসের ক্যানসার খুব ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন এটি শেষ পর্যায়ে চলে আসে। যখন ক্যানসার তৈরিকারী টিউমারটি ফুসফুসের বাইরেও ছড়িয়ে যায়। এ রকম অবস্থায় রোগটি খুব মারাত্মক হয়ে পড়ে। গবেষণায় বলা হয় ফুসফুসের ক্যানসারের প্রধান কারণ ধূমপান।
তবে ধূমপায়ী না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা জরুরি।
রসুন শরীরের জন্য উপকারী। কেননা এটি ক্যানসার কোষকে ছড়িয়ে দিতে বাধা দেয়। কীভাবে এটি কাজ করে?- এই বিষয়ে জানিয়েছে জীবনযাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধে আপনাকে তাজা বা সতেজ রসুন খেতে হবে। রসুনের রস ফুসফুসের ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।’
তবে এটি শুধু তাদের জন্য বলা হচ্ছে, যারা ধূমপায়ী, যাদের পরিবারে ফুসফুস ক্যানসারের ইতিহাস আছে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ‘যেসব লোক তাজা রসুন সপ্তাহে অন্তত দুদিন খান তাদের ৪৪ ভাগ ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ঝুঁকি কমে যায়।’
তবে রসুন ফ্রিজে রেখে খেলে একই রকম কার্যকরী হবে কি না সে ব্যাপারে গবেষণায় কিছু বলা হয়নি।
কখন রসুন খাবেন? খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সকালে বা রাতে ঘুমের আগে রাতের খাবারের এক ঘণ্টা পর রসুনের কোয়া খেতে হবে।
রসুনের আরো গুণ রয়েছে, যেমন এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়, রসুন স্মৃতিভ্রম বা ভুলে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এসব গুণ পেতে ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন খেতে পারেন নিয়মিত।