দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা দূর করবে যেসব খাবার
অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হতে দেখা যায়। সাধরণত পিঠ, কাঁধ, হাঁটু, মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হতে দেখা যায়।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার প্রধান কারণ প্রদাহ। পেশি ব্যথা, টিস্যু ব্যথা, অবসন্নতা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার লক্ষণ।
কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা কমাতে কাজ করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি জানিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা কমানোর কিছু খাবারের নাম।
আদা
আদা হলো ভালো প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ওষুধ। এর মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান জিনজেরলস। এটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা কমাতে কাজ করে। ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, আদার ভেতরে থাকা ননস্টেরয়েডাল ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর। প্রদাহরোধী বিভিন্ন ওষুধ যেমন অ্যাসপিরিনের তুলনায় প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে আদা খুব ভালো কাজ করে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা কমাতে কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া দিনে দুই থেকে তিন কাপ আদার চা খেতে পারেন।
হলুদ
হলুদও ব্যথা প্রশমনে খুব ভালো কাজ করে। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এটি একধরনের প্রদাহরোধী উপাদান।
• ব্যথা সারাতে এক গ্লাস দুধের মধ্যে এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া মেশান। প্রতিদিন খান।
• এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হলুদের ক্যাপসুলও খেতে পারেন।
রসুন
রসুনের মধ্যে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান। এর মধ্যে থাকা সালফার উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ব্যথা ও ফোলা কমায়।
• প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কয়েকটি কাঁচা রসুনের কোয়া খান।
• এ ছাড়া শরীরের যেখানে ব্যথা আছে, সেখানে রসুনের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এতে আছে একধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি প্রদাহ ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া এর আরো গুণ হলো, এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।