হাত-পা কি সবসময় ঘামে?
অনেকেরই সবসময় হাত-পা ঘামে। এই সমস্যা কেন হয় আর এটি থেকে প্রতিকারের উপায় কী— এ প্রসঙ্গে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৩৮৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহিদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেল বিডির পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : অনেকের খুব বেশি ঘাম হয়। শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ঘেমে যায়। যেমন হাত-পা। এই সময় কি এটি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : আপনি যে সমস্যটির কথা বললেন, এটি খুব প্রচলিত সমস্যা। দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার খাতায় লিখছে, হাত থেকে কলম পড়ে যাচ্ছে। অফিস-আদালতে আমরা কারো সাথে হাত মেলাতে পারছি না। এটা সবসময় তো তাদের থাকেই, তবে গরমে আরো বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমার প্রথম পরামর্শ হাতকে শুকনো রাখা। একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। সবসময় হাতকে পরিষ্কার রাখবে। সেটা সব সময় রাখবে। এটি দিয়ে হাত মুছে কিছু বেবি পাউডার ব্যবহার করতে পারে। এরপরও রয়েছে অ্যালকোহল বেজড অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড। রোল অন। সেটা হাতের মধ্যে দিয়ে রাখলে কিছুটা আরাম পায়।
এই রোগটি খুব প্রচলিত। আমার কাছে কিছু রোগী আসে, বলে যে এটা অনেক বছর ধরে আছে, কিন্তু আমি আজ এসেছি। এতে চামড়া উঠছে, কালশিটে হচ্ছে। এই সমস্যা দুই ধরনের রয়েছে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারিতে শুধু হাত-পা ঘামবে। আর সেকেন্ডারিতে হাত-পায়ের সাথে আর্মপিট, কপাল শরীরের অন্যান্য অংশগুলো হাইপার হাইড্রোসিস হবে।
প্রাইমারি সাধারণত মানসিক চাপ, উদ্বেগ— এগুলো থেকে হতে পারে। সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে কিছু রোগ কাজ করে। থাইরয়েডের সমস্যা, হরমোনের সমস্যা— এসব কারণে হয়। এই ব্যাপারে কিছু ওষুধ দেই। আর এই সমস্যাগুলো সারা বছরই ভোগাবে। আইন্টোফরোসিস রয়েছে। যেটি দিয়ে চিরস্থায়ী সমাধান করা যায়। কিন্তু দেখা যায় রোগী এক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বার বার সপ্তাহে সপ্তাহে ক্লিনিকে আসতে হচ্ছে। আর একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে সারাক্ষণ এটি মেনে চলাও সম্ভব নয়। তাই সাধারণভাবে যতটা কমাতে পারে, ততই ভালো।