থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসা

থাইরয়েড ক্যানসারের বেশ ভালো চিকিৎসা এখন আমাদের দেশেই সম্ভব। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৮৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. মিজানুল হাসান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : চিকিৎসার প্রসঙ্গে আমরা থাইরয়েড ক্যানসার সম্বন্ধে জানতে চাইব। এই চিকিৎসায় রেডিওঅ্যাকটিভ আয়োডিন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ক্ষেত্রে এই চিকিৎসায় নিউক্লিয়ার মেডিসিনের গুরুত্ব কতখানি? এবং আপনারা কী করে থাকেন?
উত্তর : থাইরয়েড ক্যানসারের যে বিষয়টি এটাতে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি জানেন ক্যানসার একটি মারাত্মক ব্যাধি। এখানে আমি একটু বলে রাখতে চাই, থাইরয়েড ক্যানসার এমন একটি ক্যানসার, যদি সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসা করা যায় তবে আমরা বলি এখান থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। থাইরয়েড ক্যানসার যদি কারো হয়, তাহলে প্রথমেই এটি সার্জারি করে, পুরো গ্রন্থিকে ফেলে দিতে হয়। পরে আমাদের নিউক্লিয়ার মেডিসিনে আমরা আয়োডিন থেরাপি দিই। সম্পূর্ণ গ্রন্থি অপসারণের পরও অনেক কোষ রয়ে যায়। যেই কোষগুলো রয়ে যায়, সেগুলোকে ধ্বংস করার জন্য রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিন অত্যন্ত উপযোগী। আমাদের নিউক্লিয়ার মেডিসিনে আমরা এই চিকিৎসাসেবাটা দিয়ে থাকি।
প্রশ্ন : রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিন আপনারা কীভাবে দিয়ে থাকেন।
উত্তর : এটা অত্যন্ত সহজ। রেডিওথেরাপির ক্ষেত্রে তার শিডিউল করতে হয়। তবে আমাদের যেটি রেডিও-আয়োডিন থেরাপি এটি অত্যন্ত সহজ। কেবলমাত্র রোগীকে একটি ক্যাপসুল আমরা খাইয়ে দিই। তার ডোজ নির্ধারণ করে তার সমপরিমাণ, একটি ডোজ ক্যাপসুল তাকে খাওয়ানো হয়। তবে এটা তেজস্ক্রিয় পদার্থ বা র্যাডিও-অ্যাকটিভ। তবে যেহেতু এতে অনেক উচ্চ ডোজ দিতে হয়, রোগীকে পাঁচ থেকে সাতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখতে হয়। তখন যা করণীয়, চিকিৎসকরা সেভাবে করেন। অবশ্যই রোগী একজন নিউক্লিয়ার মেডিসিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বা তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেবেন।