হাতের জন্মগত বিকলাঙ্গতার চিকিৎসা কী

হাতের জন্মগত বিকলাঙ্গতার প্রায় সব ধরনের চিকিৎসাই আমাদের দেশে করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫১০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. কৃষ্ণপ্রিয় দাশ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাতের জন্মগত বিকলাঙ্গতা হলে কোন বয়স থেকে শিশুটির চিকিৎসা করা উচিত?
উত্তর : আসলে আমরা যখন বার্থ স্ক্রিন করি, হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওই শিশুটিকে দেখি যে তার কোনো ধরনের জন্ম বিকলাঙ্গতা আছে কি না। প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করতে পারলে অনেক সুবিধা। প্রথম দিনেই যদি আমি মাকে বিশেষ মেসেজটুকু দিতে পারি, যে এর জন্য মায়ের কোনো দোষ নেই, হয়তো কোনো চিকিৎসকের ভুলের জন্য এটি হয়েছে, অথবা জিনগত রোগের কারণেও হতে পারে—তাহলে ভালো। শুধু মাকে দোষারোপ করলে একসময় কিন্তু বাচ্চাটি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা যদি পুরোপুরি মাকে পরামর্শ দিতে পারি বা ওই পরিবারকে পরামর্শ দিতে পারি, যে বাচ্চার যেই সমস্যাটি হয়েছে এটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হবে। বুড়ো আঙুলে কোনো সমস্যা হলে, একত্রে লাগানো থাকলে এটা কেবল অস্ত্রোপচার করে দিলে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে স্বাভাবিক দেখতে ও স্বাভাবিক কার্যক্রমের বুড়ো আঙুল হবে। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটি করতে পারলে ভালো। রেডিয়াল ক্লাভেন্ট, জন্মগতভাবে বাঁকা হয়ে আছে হাত, এটা খুব কঠিন নয় সোজা করা। যারা প্রতিনিয়ত করছি তাদের কাছে এগুলো করা খুব সোজা। তবে যারা এগুলো করেনি এমবিবিএস চিকিৎসক, তাদের কাছে কিন্তু এটি খুবই কঠিন একটি বিষয়।
অনেকে ভাবেন আল্লাহ বা ঈশ্বর এটি দিয়েছেন, এটি থাকাটাই মনে হয় ভালো। এটি ঠিক করলে হয়তো বাচ্চার কোনো ক্ষতি হবে। তবে এটা কিন্তু ঠিক করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাটিকে দেখাতে লজ্জাবোধ করে। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ধরার পরে যদি পরিপূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া যায়, দু-তিন বছরের মধ্যে কিন্তু সে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। প্রায় সবগুলো হাতের জন্মগত ত্রুটিই চিকিৎসা করা সম্ভব।
প্রশ্ন : সাধারণত কোথায় গেলে এই চিকিৎসার সুবিধা পাবে?
উত্তর : আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থোপেডিক সার্জারির আওতায় হ্যান্ড সার্জারির ওপরে কাজ করি। আমাদের ওখানে এই চিকিৎসা করা হয়। বহির্বিভাগে রোগী প্রতি মঙ্গলবার ও বুধবারে দেখা হয়।