অন্ধত্ব প্রতিরোধে করণীয়
চোখের ছানি, আঘাতজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিসহ বিভিন্ন কারণে অন্ধত্ব হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৩৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. জহিরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : অন্ধত্ব প্রতিরোধে কী পরামর্শ দেবেন?
উত্তর : বাচ্চারা ইদানীং মোবাইল ব্যবহার করছে। এত বেশি ব্যবহার করছে যে আমরা অভিভাবকরা অনেক সময় বাচ্চার জ্বালা থেকে বাঁচার জন্য একটি মোবাইল হাতে দিয়ে দিই। এই মোবাইল ব্যবহারের কারণে তার চোখ মাইনাস পাওয়ারের দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে। সুতরাং বাচ্চাকে অনবরত মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টি ক্ষয় হয়ে যাবে।
বাচ্চাকে তীক্ষ্ণ, সূক্ষ্ম জিনিস নিয়ে খেলা থেকে বিরত রাখতে হবে। এটি দিয়ে অসংখ্য বাচ্চা অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। পাঁচ বছরের আগে চোখ পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রশ্ন : বড়রা পাওয়ারজনিত বিষয় থেকে কীভাবে অন্ধত্বের দিকে যেতে পারে?
উত্তর : ছানিজনিত অন্ধত্ব সহজেই দূর করা যাবে। সচেতনতা তৈরি করতে হবে। চিকিৎসা আছে, এ আস্থা মানুষের ভেতর জন্মাতে হবে।
ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্ব মারাত্মক আকারে রয়েছে। ছানির ক্ষেত্রে দেরি করলেও আমরা ভালো করে দিতে পারব। ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্বে যদি দেরি করা হয়, একে কোনোভাবেই ঠিক করা যাবে না। সুতরাং এতে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। রেটিনা বিশেষজ্ঞ বা চক্ষু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। প্রতিরোধ করতে পারলে অর্থ সাশ্রয় হবে।