বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা কী?
এক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাসের পরও যদি গর্ভধারণ না হয়, একে বন্ধ্যত্ব বলে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৪১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালের ফার্টিলিটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে সে জন্য কী কী পরীক্ষা দেন আপনারা?
উত্তর : যদি পুরুষের কারণ দেখতে চাই, তাহলে সিমেন এনালাইসিস করি। স্পার্মের গতি-প্রকৃতি হয়তো ঠিক নেই। স্পার্মের আকার অস্বাভাবিক রয়েছে। স্পার্মের কোয়ালিটি পুরোপুরি নিখুঁত হয় না। বাংলাদেশে বন্ধ্যত্ব চিকিৎসকের সংখ্যা কম। আর আমরা যদি নারীর বিষয়ে আসি, টিউবের যদি সমস্যা থাকে একটি চিকিৎসা করে দেখি এর কোনো সমস্যা আছে কি না। এ ছাড়া আমরা সাধারণ একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে বুঝতে পারব যে তার সম্পূর্ণ জরায়ুর অবস্থাটা কেমন রয়েছে।
প্রশ্ন : কী কী ধরনের পদ্ধতি আপনারা এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন?
উত্তর : বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমরা যেই ব্যবস্থার কথা বলব, এখানে স্বাভাবিকভাবে যেটা হয়, এর বাইরে আমরা আইইউআই করি। এখানে স্বামীর ভালো গুণের স্পার্মকে খারাপ স্পার্ম থেকে আলাদা করব, করে একটি চিকন ক্যাথেডার দিয়ে স্ত্রীর জরায়ুতে দিয়ে দেব। ঠিক সে রকম স্বামীর ভালো গুণের স্পার্মটা স্ত্রীর জরায়ুতে দিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সফলতা অনেক ভালো। এরপর যদি আমি আসি আরো অগ্রবর্তী পদ্ধতি, সেই ক্ষেত্রে যদি আইভিএফ করি, টিউবের মধ্যে হয়তো পানি জমে আছে, টেস্টটিউব করে থাকি। আমরা বাচ্চা ফোটাব টেস্ট টিউবের মধ্যে। বাচ্চাটা হওয়ার পর স্ত্রীর জরায়ুতে দেব।
এর পরও অনেক সময় দেখা যায় স্বামীর স্পার্মের গুণ সে রকম নয়। আইসিআই পদ্ধতি ব্যবহার করি। অবসট্রাকটিভ অ্যাজোস্পার্মিয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থা ঘটিয়ে দিতে পারি।