কোন রোগীর ক্ষেত্রে পিআরপি করা যাবে?

পিআরপি নতুন একধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি। হাঁটুর সমস্যা বা অস্টিওআরথ্রাইটিসের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা করা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৯০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এ কে এম মহিউদ্দীন। বর্তমানে তিনি সিওর সেল মেডিকেলের অর্থোপেডিকস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে আপনারা পিআরপিকে বেছে নিচ্ছেন?
উত্তর : অস্টিওআরথ্রাইটিসের ক্ষেত্রে যদি পর্যায় এক, দুই, তিন হয়, অগ্রবর্তী পর্যায়ে হয় সেই ক্ষেত্রে আমরা পিআরপি ব্যবহার করে থাকি। এ ছাড়া আমাদের আরেকটি টুল রয়েছে- স্টিম সেল- এটাও করি। আমরা অস্টিওআরথ্রাইটিসের বাইরেও যেকোনো টেনডন ইনজুরি কিংবা এবিএম বা বিভিন্ন ধরনের লিগামেন্টে যে সমস্যা হয়, মিনিস্কাস ইনজুরি। সেই ক্ষেত্রেও আমরা পিআরপি ব্যবহার করে থাকি।
প্রশ্ন : পিআরপির চিকিৎসা পদ্ধতিতে বয়সসীমার কোনো বিষয় আছে কি?
উত্তর : আসলে এখানে আমরা শরীরের হিলিং মেকানিজমকে ব্যবহার করি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হিলিং মেকানিজমটা কমে যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে যেকোনো বয়স্ক লোককেই চিকিৎসা করা যায়।
প্রশ্ন : অনেক সময় একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে যেহেতু বয়স হয়ে গিয়েছে, হয়তো অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনো গতি নেই্। আর অস্ত্রোপচার করার মতো হয়তো কোনো অবস্থা নেই। সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যথাতেই ভুগতে থাকে। এসব রোগীর ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী।
উত্তর : মূলত অস্টিওআরথ্রাইটিসে পিআপি বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহার হয়। যাঁরা এমন অবস্থায় চলে যান যে অস্ত্রোপচার বা ব্যথার ওষুধ ছাড়া চলতে পারেন না, কিংবা যদি দেখা যায় যে কিডনিতে সমস্যা আছে, ডায়াবেটিস আছে, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তাদের জন্য পিআরপি সবচেয়ে নিরাপদ। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যেকোনো বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা যাবে।