চোখের ছানির অস্ত্রোপচার কীভাবে করা হয়?

চোখের ছানির অন্যতম চিকিৎসা হলো সার্জারি বা অস্ত্রোপচার। এখন ছানি অস্ত্রোপচারের বেশ উন্নত পদ্ধতি রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৯২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আবদুল মান্নান। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : সার্জারির ধরনটা কী?
উত্তর : আসলে ছানির চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ছানি অস্ত্রোপচার আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের কারণে এটি খুব সহজ হয়েছে। একটি ছানি অস্ত্রোপচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগে। হাসপাতালে থাকারও প্রয়োজন হয় না এবং রোগীকে অজ্ঞান করারও প্রয়োজন হয় না। আমরা আগে চোখের ইনজেকশন দিয়ে ছানি অস্ত্রোপচার করতাম। এখন ইনজেকশনেরও প্রয়োজন পড়ে না। রোগী শুধু আসবে, অপারেশন থিয়েটারে ঢুকবে, ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ফ্যাকো সার্জারি করে রোগী বাসায় চলে যাবে, তার স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাবে।
দৈনন্দিন যেসব কাজকর্ম আছে তা-ই করবে, শুধু আমরা বলে দিই নোংরা পানি যেন চোখে না দেন। কাঁচা পানি যেন চোখের মধ্যে ১৫ দিন না দেওয়া হয়। আর একটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং একটি স্টেরয়েড ওষুধ আমরা দিয়ে দিই। ওষুধগুলো যখন দেয়, সব ধরনের কাজই করতে পারবে।
ফ্যাকো ইমালসিফিকেশনে যে উন্নত চিকিৎসা, আমরা মেশিনের সাহায্যে ছানিকে টুকরো টুকরো করে ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে বের করে নিয়ে এসে নরম লেন্স বসিয়ে দিই। এগুলো ফোল্ডিং করা থাকে, ভাঁজ করা থাকে, ছোট্ট কলমের মাথার মতো, সেখান থেকে ভাঁজ করা লেন্সটা চোখের ভেতর গিয়ে বড় হয়ে অবস্থান নিয়ে স্বাভাবিকভাবে থেকে যায়। এটা নড়াচড়া করার কোনো আশঙ্কা নেই।