এমপক্স কী? এ রোগের লক্ষণগুলো কী? করণীয় কী?
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থেকে আফ্রিকার কিছু অংশে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও। আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত কঙ্গো থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এমপক্স কী? এ রোগটি কোথায় দেখা যায়?
এমপক্স একটি ভাইরাস জনিত প্রাণিবাহিত রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্ক-এ বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ সনাক্ত হয় বলে একে এমপক্স বলা হয়। এ রোগটি প্রাদুর্ভাব প্রধানত মধ্য আফ্রিকা ও পশ্চিম আফিকায় দেখা যায়। ইততিপূর্বে অন্যান্য দেশেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তবে সেক্ষেত্রে আফ্রিকান দেশসমূহে ভ্রমণের অথবা সেখান থেকে আমদানিকৃত প্রাণীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস রয়েছে।
এ রোগের লক্ষণগুলো কী? লক্ষণ কতদিন স্থায়ী হয়?
সাধারণ লক্ষণগুলো হলো–
১. জ্বর (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর বেশী)
২. প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হওয়া।
৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লসিকাগ্রন্থি ফুলে ও ব্যথা হওয়া।
৪. মাংসপেশীতে ব্যথা হওয়া।
৫. আবসাদগ্রস্ত হওয়া।
৬. ফুসকুড়ি- যা মুখ থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে হাতের তালু পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরে (সাধারণত জ্বরের ৩ দিনের মধ্যে)।
সাধারণত লক্ষণ শুরুর পর ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এমপক্স স্থায়ী হয়।
লক্ষণ দেখা দিলে করণীয় কী?
১. সবার আগে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে হবে।
২. সাথে সাথে চিকিৎসক/নিকটস্থ স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র/হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. সাথে সাথে আইইডিসিআর-এর হটলাইনে (১০৬৫৫) যোগাযোগ করতে হবে।
সূত্র : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর