অ্যালার্ম ছাড়াই কোন কৌশলে ঘুম ভাঙবে তাড়াতাড়ি?
বর্তমান সময়ে অনেকের মধ্যে দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে- অনেকে ঘুমানোর আগে ফোন স্ক্রল করেন, অনেকে আবার সিনেমা বা সিরিজ দেখতে বসেন কিংবা বই পড়তে শুরু করেন। ইচ্ছাকৃত এই দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে য়ায়। দেরি করে ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি উঠতেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। অথচ অফিস থাকলে বেশি সময় ঘুমোনোরও উপায় নেই। তবে দেরি করে ঘুমিয়েও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কৌশলগুলো জেনে নিলে সমস্যা হবে না।
– প্রতিদিনি সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠা এবং ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়াই শরীরের পক্ষে শ্রেয়। কিন্তু এক দিনে এত বড় বদল করতে যাবেন না। তা হলে মুশকিল হয়ে যাবে। তার চেয়ে একটু একটু করে নিজের ঘুমের সময়টা মানিয়ে নিন।
– কোনো সময়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কোন সময়ে উঠবেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোজ একই সময়ে ঘুমোনো এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। না হলে শরীরের সমস্যা হবেই।
– ঘুমোনোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিন। রাতের খাবারে যত কম তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেতে পারবেন, ততো ভাল। ঘুমের আগে গ্রিন টি বা ক্যামোমিল টি খেলে ঘুম আসতে সুবিধা হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে, সকালে উঠতেও সমস্যা হবে না।
– ঘুমের এক ঘণ্টা আগে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার করবেন না। তাতে ঘুম আসতে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। বরং ফোনে পর দিনের অ্যালার্ম সেট করে বিছানা থেকে বেশি খানিকটা দূরে রেখে দিন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে পর দিন উঠে অনেকটা যেতে হয়। এতে ঘুমও ভেঙে যাবে সহজে।