ডিটক্স ওয়াটার খেয়েও ওজন কমবে? যেভাবে তৈরি করবেন

বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে শরীরে জমে যেতে পারে টক্সিন। এর ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা এমনকি ওজনও বাড়তে পারে। তাই শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতে গেলে নিয়মিত ডিটক্স ওয়াটার খেতে হবে। বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কাজটি করতেও সাহায্য করে এই ডিটক্স পানীয়। এটি নিয়মিত খেতে হবে। তবে কী ধরনের ওয়াটার খেলে ওজন কমবে, তা জেনে রাখা ভাল।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন যে খাবার খাওয়া হয় তা ঠিকমতো হজম না হলে তার থেকে দূষিত পদার্থ জমা হয় শরীরে, যা গ্যাস-অম্বল, পেটের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। অ্যালকোহল বা বিভিন্ন রকম ওষুধের উপাদানও এই বিষ প্রবেশের কারণ হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন বা বিষ শরীর থেকে বের করা প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীর পরিষ্কার হয়, খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে এবং বিপাক হার বাড়ে—যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর উপকার পেতে হলে প্রতিদিনের অভ্যাসেই রাখতে হবে এই ওয়াটার। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী ধরনের ডিটক্স ওয়াটার ওজন কমাবে?
স্ট্রবেরি, লেবু, তুলসি পাতার ডিটক্স
৬-৮টি স্ট্রবেরি, একটি গোটা পাতিলেবু দুই টুকরো করে কাটা, একমুঠো তুলসি পাতা, ২-৩ কাপ পানি নিতে হবে। কাচের জারে সমস্ত উপকরণ ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ভেজাতে পারলে ভাল হয়। তারপর এই পানিটা অল্প অল্প করে খেতে হবে।
আনারস-পুদিনার ডিটক্স
২-৩ কাপ পানি নিতে হবে। এবার কাচের জারে পানি নিয়ে তাতে এক কাপ আনারসের টুকরো, ৫-৬টি পুদিনা পাতা ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা দুয়েক। তারপর সেই পানি খেতে হবে। নিয়মিত খেলে বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।
আপেল-দারুচিনি ডিটক্স
একটি গোটা আপেল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার একটি কাচের জারে পানি নিয়ে আপেল টুকরো ও ২-৩টি দারচিনির স্টিক ফেলে দিন। তাতে কিছু পুদিনা পাতাও মেশাতে পারেন। দুই ঘণ্টা জারটি ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার। এই পানি ওজন কমাবে, পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও কমাবে।