যে ৫ খাবারেই কমবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা

বর্তমানে অনেকেই ইউরিক এসিডের সমস্যায় ভুগছে। সুতরাং, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যায়, তখনই সমস্যা তৈরি হয়। তখন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে। যাকে বলে গেঁটে বাত বা গাউট।
এটি সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুল বা গোড়ালিতেই দেখা দেয়। এই গাউটের ব্যথা অসহ্যকর হয়। হাঁটাচলা করতে খুব সমস্যা হয়। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি কিছু খাবারের উপরও জোর দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলো সম্পর্কে।
পানির বিকল্প নেই
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড আপনাকে বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পানির বিকল্প নেই। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এর মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও রয়েছে।
মাছ
অনেকের ধারণা ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে মাছ-মাংস খাওয়া ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে মাছই কাজে আসে। বিশেষত ছোট মাছ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মরৌলা, কই, পাবদা, পারশে ও তোপসের মতো মাছ খেতে পারেন। আসলে এই ধরনের মাছে ফ্যাট ও প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো ছোট মাছ।
ডিম সিদ্ধ
ডিম হলো সুপারফুড। এমন কোনো পুষ্টি নেই, যা ডিমের মধ্যে পাবেন না। ডিমের মধ্যেও প্রোটিন রয়েছে, তাও এটি ইউরিক অ্যাসিডে খাওয়া যায়। প্রয়োজনে শুধু ডিমের সাদা অংশটা খেতে পারেন। তবে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে একটার বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।
চিকেন খেতে পারেন
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে চিকেন খেতে পারেন। চিকেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটায় কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় না। তবে চিকেনও বেশি খাওয়া ভালো নয়। প্রতিদিন ১০০-১৫০ গ্রাম চিকেন খেতে পারেন।
ফলের বিকল্প নেই
গাউটের ব্যথায় কষ্ট পেলে ফল খেতে পারেন। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক। এ ক্ষেত্রে লেবু জাতীয় ফল খেতে পারেন। এ ছাড়া তরমুজ, আনারস, শসার মতো ফল খেতে পারেন, যার মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি। এগুলো শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে দিতে সক্ষম।