চাকরির ইন্টারভিউতে মেনে চলুন ১০টি বিষয়

অনেক অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আপনার চাকরি হচ্ছে না। বসে বসে অযথা ভাগ্যকে দোষারোপ করছেন। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, আপনার মতো অনেকেই আছেন যাঁদের খুব সহজেই চাকরি হয়ে যাচ্ছে? তাঁদের যোগ্যতা আর আপনার যোগ্যতার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য কিন্তু নেই। পার্থক্য আছে খুঁটিনাটি কিছু বিষয়ে। যা আপনি হয়তো খেয়ালই করছেন না। চাকরির ইন্টারভিউতে সহজে পাস করার জন্য উইকিহাউ ওয়েবসাইটে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেনে নিন ইন্টারভিউয়ের সময় কোন বিষয়গুলো মেনে চলবেন-
১. যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের জন্য যাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে কিছু ধারণা নিয়ে যান। আজকাল ইন্টারেনেটে প্রায় সব প্রতিষ্ঠান বিষয়ে তথ্য থাকে। আগে থেকেই সেসব তথ্য দেখে পুরো বিষয়টি আয়ত্ত করে যান। এমনকি প্রতিষ্ঠানের বসের সম্বন্ধে টুকটাক ধারণা নিতে পারেন। কাজে লাগবে।
২. কিছু সাধারণ সাক্ষাৎকারের প্রশ্ন নিজেই নিজেকে করুন। আবার সেগুলোর উত্তরও নিজেই বলুন। এভাবে অনুশীলন করলে ইন্টারভিউ বোর্ডে ভয় কম লাগবে।
৩. ইন্টারভিউ বোর্ডে যত কঠিনই প্রশ্ন করা হোক না কেন বুদ্ধি করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকুন। কোন উত্তরই সংকোচ নিয়ে দেবেন না। তবে অযথা ভুল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে চিন্তা করে নিন।
৪. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, একটু হেলাফেলায় চাকরিটি আপনার নাও হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি কাজ সতর্কতা নিয়ে করার চেষ্টা করুন।
৫. রুচিসম্পন্ন পোশাক ইন্টারভিউ বোর্ডে খুবই জরুরি। যতটা সম্ভব পরিপাটি পোশাক পরার চেষ্টা করুন। আপনার পোশাকই আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। তাই পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে একটু সচেতন থাকুন।
৬. অবশ্যই ইন্টারভিউয়ে সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। প্রথম দিনেই দেরিতে গেলে আপনার সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের খারাপ ধারণা হতে পারে। ইন্টারভিউতে অন্তত আধা ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
৭. যখন ইন্টারভিউর জন্য অপেক্ষায় থাকবেন তখন অন্যমনষ্ক থাকবেন না। প্রত্যেকটি ঘোষণা ভালো করে শোনার চেষ্টা করুন।
৮. ইন্টারভিউ বোর্ডে ফোন বন্ধ রাখুন। এটা এক ধরনের ভদ্রতা। কথার মাঝে ফোন বেজে উঠলে কর্তৃপক্ষ আপনার ওপর বিরক্ত হতে পারে।
৯. আগের অফিস সম্বন্ধে ভুলেও বাজে মন্তব্য করবেন না। এমনকি সেখানকার বস কেমন ছিল, কলিগদের কী সমস্যা ছিল এগুলো ইন্টারভিউ বোর্ডে বলার কোনো প্রয়োজন নেই।
১০. ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে ধূমপান এবং নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ রুমে প্রবেশ করার সময় আপনার সঙ্গে গন্ধও চলে আসবে। এক নিমিষেই সবাই ধরে ফেলবে। যা আপনার ব্যক্তিত্বের ওপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলবে।