সহকর্মীর সঙ্গে মনোমালিন্য?
আপনারা যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁরা তো জানেন, দিনের প্রায় সিংহভাগ কাটে আপনার ‘অফিস’ নামের একটি স্থানে। সেখানে প্রতিদিন দেখা হয় ‘কলিগ’ নামে এক অপরিচিত থেকে পরিচিত হয়ে ওঠা মানুষের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গেই কাটাতে হয় পুরোটা দিন। অফিসে হাজারও কাজের চাপের ভিড়েও একটু হাসি-ঠাট্টা, রোজকার টুকিটাকি সমস্যা শেয়ার করা, কখনো একসঙ্গে শপিং, খাওয়া দাওয়া- সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের রেখাচিত্রটা মোটামুটি এ রকমই। এ সম্পর্কটা খুব কাছেরও না, আবার খুব বেশি দূরেরও নয়। সম্পর্কটার মাঝে একটা সামঞ্জস্য বজায় থাকে সবসময়। কিন্তু অনেক সময় এই ব্যালেন্সটা মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সম্পর্কে পড়ে মনোমালিন্যের ছায়া। অফিসে একটানা কাজ করতে গেলে টুকটাক কিছু না কিছু দ্বন্দ্ব হতেই পারে। কিন্তু কীভাবে তা মেটাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক ফোর্বসের সৌজন্যে।
১। নিজেরা একে অন্যের ওপর দোষ না চাপিয়ে, যে কারণে সমস্যাটা হচ্ছে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যেমন ধরুন, একসঙ্গে দুজনে একটা প্রজেক্টে কাজ করছেন। একজন দেরি করে আসায় সঠিক সময়ে প্রজেক্ট সাবমিট করা সম্ভব হলো না। এতে রেগে না গিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন সহকর্মীর কেন দেরি হলো। হয়তো কোনো সঙ্গত কারণ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে দুজন কাজ করার আগে একসঙ্গে আলোচনা করে দেখুন কীভাবে কাজটা করলে হাতে আরো একটু বেশি সময় পাওয়া যেত।
২। অফিসে একটা সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। আর তা হলো কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে। আপনি হয়তো একটা কাজ দারুণভাবে শেষ করলেন, কিন্তু স্বীকৃতি পেল আপনার সহকর্মী। এ রকম পরিস্থিতিতে কেন এমন হলো তা নিয়ে ভাবুন। হয়তো আপনার প্রেজেন্টেশনের ঘাটতি থাকতে পারে। তাই তা সমাধানের চেষ্টা করুন।
৩। সহকর্মীর কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার পেলে মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি উল্টো খারাপ আচরণ করতে যাবেন না। মনে রাখবেন, উদ্ধত ব্যবহার বা অন্যকে ছোট করে দেখার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।
৪। কোনো সহকর্মীর ব্যক্তিগত জীবন, সাজ-পোশাক এসব নিয়ে অন্য কারো সঙ্গে গসিপ করবেন না।
৫। প্রত্যেক মানুষের মানসিকতা এক নয়। তাই দৃষ্টিভঙ্গির অমিল হতেই পারে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে তার প্রভাব যেন না পড়ে তা খেয়াল রাখবেন।
সবশেষে বলা, সহকর্মী ভালো কাজ করলে তার কাজের প্রশংসা করুন। প্রশংসা শুনতে সবাই পছন্দ করে। আর এর ফলে সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরো ভালো হবে এবং আগামী দিনে আপনার কাজেও সহকর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।