রিবন্ডিং চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে
রিবন্ডিং করলে আপনার চুলে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটে। প্রথম দিকে চুল দেখতে ঝলমলে লাগলেও পরে তা যত্নের অভাবে রুক্ষ হয়ে যায়। তাই সর্বোত্তম ফলাফল পেতে চুলের প্রয়োজন পুষ্টি। বিশেষ করে, রিবন্ডিং করার প্রথম ৭২ ঘন্টা চুলের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৩ দিন চুল ধোয়া এড়িয়ে চলুন
চুলগুলোকে নতুন কাঠামোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কয়েক দিন সময় নিন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য কমপক্ষে তিন দিন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন । এ সময় চুল শুকনো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আর্দ্রতা চুলকে নষ্ট করে দিতে পারে। গোসল করার সময় শাওয়ার ক্যাপ পরুন। চুলে কোনো ভাবেই পানি স্পর্শ করতে দেবেন না।
চুল বাধা এড়িয়ে চলুন
চুল রিবন্ডিং এর পর শক্ত করে বেঁধে রাখবেন না। বিশেষ করে, প্রথম তিন দিন চুল খোলা রাখুন। যতটা সম্ভব রিবন্ডিং এর পর চুল আলগা করে বাধুন।
সূর্যের তাপ এড়িয়ে চলুন
রিবন্ডিং এর পর চুল সংবেদনশীল থাকে। এ সময় চুলকে সূর্যের ইউভি ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে বাইরে যাবেন না। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি চুলের প্রোটিনের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় ক্যাপ, টুপি বা ছাতা দিয়ে আপনার চুল ঢেকে রাখতে পারেন।
চুল ধোয়ার নিয়ম
প্রতি সপ্তাহে ২-৩ দিন চুল ধুবেন। মাঝে মাঝে গরম তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার জন্য একটি হালকা, সালফেট এবং প্যারাবেন মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এ সময় অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার প্রয়োগ করুন। এতে চুল রুক্ষ হবে না।
গরম পানি দিয়ে চুল ধুবেন না। ঠাণ্ডা পানি চুলকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ রাখবে। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখবে।
চুলের সিরাম
চুল ঝলমলে রাখতে ভিটামিন ই এর মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করুন। নিস্তেজ চুলের জন্য এটি একটি প্রাথমিক চিকিৎসা।
হিট-স্টাইলিং গ্যাজেটগুলো থেকে দূরে থাকুন
রিবন্ডিং করার সময় চুলে যথেষ্ট পরিমাণে তাপ ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, ব্লো-ড্রায়ার এবং কার্লারের মতো স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রাকৃতিক বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।
হেয়ার ট্রিম
প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পরপর চুলের আগা কাটুন। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন
বড় দাঁতযুক্ত একটি কাঠের চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার করুন। এটি চুল ভাঙার সম্ভাবনা কমাবে। চুল পড়াও রোধ করবে।
ডায়েট
চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য আপনাকে খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রোটিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর একটি সুষম ডায়েট মেনে চলুন। চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার এটি একটি চাবিকাঠি।
ব্যায়াম
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং ওয়ার্কআউট শরীরে রক্ত প্রবাহ বজায় রাখে। পর্যাপ্ত রক্ত মাথার ত্বকে পৌঁছালে চুলের ফলিকলগুলো পুষ্ট থাকে। এটি চুলকে মজবুত ও সুস্থ রাখে।
সূত্র- পিংকভিল্লা