বাসায় বসে আপনার স্কিনটোন পরীক্ষা করবেন যেভাবে

স্কিন কেয়ার, মেকআপ কিংবা ফ্যাশনেবল পোশাক এগুলোর প্রতি মেয়েদের আগ্রহ বরাবরই চোখে পড়ে। কিন্তু সব রঙ বা স্টাইল সবাইকে সমানভাবে মানায় না। কারণ, আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের রঙ ও আন্ডারটোন ভিন্ন। তাই নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে তুলতে হলে নিজের স্কিনটোন অনুযায়ী মেকআপ, পোশাক ও স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া উচিত। তবে প্রশ্ন হলো, স্কিনটোন কীভাবে বুঝবেন তাও আবার বিউটি এক্সপার্ট ছাড়া?
সময়ের অভাব বা অলসতা থাকলেও, বাসায় বসেই আপনি স্কিনটোন পরীক্ষা করতে পারবেন, মাত্র কয়েকটি সহজ উপায়ে।
টিস্যু পরীক্ষা
বাসায় বসে স্কিনটোন পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর টিস্যু দিয়ে ত্বকের বিভিন্ন অংশে চাপ দিন। যদি টিস্যুতে সব জায়গা থেকে তেল লাগে, তাহলে বুঝবেন ত্বক তৈলাক্ত। আর যদি টিস্যু পরিষ্কার থাকে তাহলে ত্বক শুষ্ক। যদি কপাল, নাক ও থুতনিতে তেল এবং গালে শুষ্কতা থাকে তাহলে এটি কম্বিনেশন স্কিন।
শিরা পরীক্ষা
শিরার রঙ দেখেও স্কিনটোন পরীক্ষা করা যায়। এ ক্ষেত্রে সূর্যের আলোতে আপনার হাতের শিরার রঙ পরীক্ষা করুন। যদি হাতের শিরাগুলি নীল বা বেগুনি দেখায়, তাহলে আপনার স্কিন টোন শীতল। যদি শিরাগুলো সবুজ দেখায়, তাহলে আপনার স্কিনটোন উষ্ণ। আর যদি আপনি শিরার রঙ বুঝতে না পারেন (নীল বা সবুজ উভয়ই মনে হয়) তাহলে আপনার স্কিন টোন নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ।
পেপার পরীক্ষা
এ পদ্ধতির জন্য আপনাকে সাদা রঙের পোশাক পড়তে হবে অথবা সাদা কাগজ গলা ও বুকের উপরিভাগে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি কাগজের রঙ গোলাপী দেখায় তাহলে আপনার টোন শীতল। যদি কাগজ হলুদাভ দেখায় তাহলে আপনার টোন উষ্ণ। আর যদি গোলাপী বা হলুদাভ একটুও না বুঝায় তাহলে নিরপেক্ষ।
গহনা পরীক্ষা
এ পদ্ধতির ক্ষেত্রে যদি আপনাকে স্বর্ণের গহনা মানায়, তাহলে আপনার টোন শীতল। যদি রুপা আপনাকে মানায় তাহলে আপনার স্কিনটোন উষ্ণ। আর যদি দুটোর একটিই না বুঝতে না পারেন তাহলে নিরপেক্ষ।
এ পরীক্ষাগুলোর প্রত্যেকটির ফলাফল যদি একই হয় অর্থাৎ সব টেস্টেই যদি শীতল হয় তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার শীতল ত্বক। আর সবগুলো পরীক্ষা একই না হলেও যে পরীক্ষার ফলাফল সর্বোচ্চ সেটিই আপনার স্কিনটোন। আর যদি সবগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয় তাহলে আপনার পরীক্ষায় ভুল হয়েছে। নিজের স্কিনটোন জানা মানে শুধু যে আপনি রূপচর্চায় সচেতন বিষয়টা তা নয়। এটি আপনার আত্মপরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে মানুষ নিজের ত্বক, রঙ ও বৈশিষ্ট্যকে বুঝে সে নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী, পরিপূর্ণ এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।