‘প্রাক্তন’কে কি এখনো মনে পড়ে? আজ কিন্তু ম্যাসেজ দেওয়ার দিন
আজ ‘প্রাক্তনকে মেসেজ দেওয়ার দিন’। এক অদ্ভুত নাম, এক চেনা কাঁপুনি। ক্যালেন্ডারে হয়তো এই দিনের গুরুত্ব সামান্য, কিন্তু যাদের জীবনে ‘প্রাক্তন’ বলে কেউ আছে, তাদের জন্য এই দিন মানে এক অন্যরকম ভাবনার জায়গা।
কেউ হয়তো দিনটিকে নিছক মজার ছলে নেয়— পুরোনো সম্পর্কের মানুষটিকে একবার ‘হাই’ বলে দেখা, এখনো ব্লকে আছি কিনা তা যাচাই করা। আবার কারও কাছে এই দিনটা অনেক গভীর, অনেক নরম স্মৃতির দরজা খুলে দেয়।
সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা, বদলেছে যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু প্রাক্তনের নামটা ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে আজও রয়ে গেছে। হয়তো আর ফোন করা হয় না, কিন্তু মাঝে মাঝে সেই নামটা চোখে পড়লেই হৃদয়ে একটা ক্ষুদ্র কম্পন ওঠে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, অতীতের সম্পর্ক আমাদের মানসিক গঠনের অংশ হয়ে যায়। কেউ সেটাকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে পারে না, বরং সময়ের সঙ্গে তার রূপ পাল্টে যায়। সেই কারণেই হয়তো এই দিনটি এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে— অতীতের মানুষটির প্রতি অমলিন কৃতজ্ঞতা বা অনুশোচনার এক নিঃশব্দ স্বীকারোক্তি হিসেবে।
তবে সব সম্পর্কের শেষেই যে ফিরে দেখা সম্ভব, তা নয়। কারও জীবনে প্রাক্তন মানেই এক অবসান; আবার কারও কাছে সেই মানুষটিই আজও এক অচেনা উষ্ণতা। তাই কেউ আজ সাহস করে একটা মেসেজ পাঠাবে, আবার কেউ চুপচাপ নিজের ফোনের স্ক্রিনে সেই নামটা দেখে একবার নিঃশ্বাস ফেলবে।
শেষমেশ, ‘প্রাক্তনকে মেসেজ দেওয়ার দিন’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সম্পর্কের পরিসমাপ্তি মানেই সব অনুভূতির মৃত্যু নয়। কিছু ভালোবাসা থেকে যায়, নীরবে, আড়ালে, ঠিক যেমন পুরোনো কোনো বার্তা, যা হয়তো কখনো পাঠানো হয়নি।

ফিচার ডেস্ক