নিয়মিত ফুলকপি খান, ক্যানসার প্রতিরোধ করুন
আমাদের দেশে যত সবজি আছে, তার মধ্যে ফুলকপিকে সুপার সবজি বলা চলে। ফুলকপি পুষ্টিগুণে ভরা। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে ফুলকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ফুলকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলেছেন পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।
পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি বলেন, ফুলকপিতে অনেক আঁশ থাকে। তাই যাঁরা ফুলকপি খান, তাঁদের কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ফুলকপি ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য সুপার ফুড। সুপার ফুড বললাম এ কারণে, ফুলকপিতে এমন সব পুষ্টি উপাদান আছে, যেগুলো ক্যানসার দূর করতে সহযোগিতা করবে। কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার এবং ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার যদি কারও চান্স থাকে, সেই চান্স অনেকখানি কমে যায় বা প্রতিরোধ হয় ফুলকপি গ্রহণে।
নিশাত শারমিন নিশি বলেন, যাঁদের হাইপারটেনশনের চান্স থাকে বা হাইপারটেনশন আছে, যাঁদের প্রেশার অনেক বেশি, হুট করে প্রেশার বেড়ে যায়; এমন রোগীদের আমি ফুলকপি সাজেস্ট করে থাকি। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে এইচডিএল থাকে, যেটি আপনার রক্তে গুড কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মাধ্যমে হাইপারটেনশন কমিয়ে দেবে এবং হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করবে।
যাঁদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ফুলকপি অনেক ভালো। এ ছাড়া ফুলকপি ফুসফুসের প্রসারণ করে। সপ্তাহে তিন দিন যদি ফুলকপি খান, তাহলে অ্যাজমা বা যাঁদের ফুসফুসে প্রদাহ আছে, সেই প্রদাহ দূর করতে ফুলকপি খুবই সাহায্য করে। এ ছাড়া তরকারিতে যদি ফুলকপি দেন, তাহলে খাবারে একঘেয়ে লাগবে না, বোরিং লাগবে না। সুস্বাদু খাবারের মধ্যে ফুলকপি একটি।
ত্বকের যত্নে ফুলকপি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। কারণ, ফুলকপি খেলে আপনার ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ইনরিচ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার স্কিন গ্লো করবে এবং স্কিনে কোনও লালচে ভাব থাকলে সেটিও দূর হয়ে যাবে। ফুলকপির স্যুপও খেতে পারেন। আপনি যদি ফুলকপি, গার্লিক, ব্রকলি, মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ রান্না করেন, যাঁদের ওজন অনেক বেশি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ওয়েট রিডাকশনে এটি খুব হেল্প করবে।
ফুলকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।