অ্যাজমা রোগীরা কী খাবেন, কী খাবেন না
অ্যাজমা বা হাঁপানি খুবই মারাত্মক একটি রোগ। অ্যাজমা সাধারণত শীতকালে বেড়ে যায়। খুশখুশে কাশি থেকে শুরু করে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় রোগীর। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব, অ্যাজমা রোগীদের খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা রোগীর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি। তিনি বলেন, খাদ্যতালিকায় যদি বিভিন্ন নিউট্রেন্ট ব্যালেন্স করে রাখা যায়, তবে একজন অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর কষ্ট কমে যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটু কুসুম গরম পানি রাখবেন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি একটু আদার রস, তুলসির রস অথবা লেবু-মধুর পানীয় খান, তাহলে আপনি অনেকটা বেটার ফিল করবেন।
আদায় এমন কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যা সব ধরনের প্রদাহ কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে ফুসফুসকে প্রসারিত করে এবং অক্সিজেন ইনহেল করতে অনেকটা হেল্প করবে। সারা দিনের খাদ্যতালিকায় এক কাপ আদা চা রাখতে পারে। বিকেলে নাশতায় মুড়ির সাথে আদা চা রাখতে পারেন। অথবা মসলা চা রাখতে পারেন, যেটি আপনাকে অনেকটা ফুরফুরে রাখবে।
খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখতে হবে। ভিটামিন সি ফুসফুসকে প্রসারিত করে, অক্সিজেন ইনহেল করতে হেল্প করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। যেভাবেই হোক খাদ্যতালিকা এনরিচ করতে হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ করতে হবে। কারণ, ব্যালেন্স ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় সুপারফুড রাখবেন। এমন কিছু রাখবেন না, যে খাবারগুলো আপনার অ্যালার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় বা যে খাবারটা সেনসিটিভ, সে খাবারটা আপনাকেই সিলেক্ট করতে হবে যে কোন খাবারটা আপনার জন্য সেনসিটিভ মনে হচ্ছে।
অ্যাজমা রোগীরা কী খাবেন, কী খাবেন না, তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।