রনিল বিক্রমাসিংহের প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে বিক্ষোভের ডাক
শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থেকে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হতে রনিল বিক্রমাসিংহের প্রত্যাশিত লড়াইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির শিক্ষার্থী ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে আজ মঙ্গলবার দেশটির আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে উপস্থিত হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়া শ্রীলঙ্কায় তীব্র জনঅসন্তোষ ও গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর পদত্যাগ করলে দ্বীপদেশটির ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন।
জিনিসপত্রের চড়া দাম ও খাদ্য-জ্বালানির ঘাটতিতে ক্রুদ্ধ বিক্ষোভকারীরা গোটাবায়ার পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিক্রমাসিংহের শাসন থেকেও মুক্তি চাইছেন।
বিক্রমাসিংহের বাইরে প্রেসিডেন্ট পদে যাদের নাম ঘুরছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- প্রধান বিরোধীদল সামাগি জানা বালাভিগায়া পার্টির নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা ও ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, একসময়ের গণমাধ্যম মন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা দুল্লাস আলাহাপেরুমা।
‘আমি শ্রীলঙ্কার জনগণকে জানাতে চাই, আমি মাতৃভূমির স্বার্থ এবং দেশবাসীর অধিকার সুরক্ষায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব,’ টুইটারে বলেছিলেন প্রেমাদাসা। তিনি পার্লামেন্ট অভিমুখে রওনা হওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
পরে দুল্লাসের সমর্থনে প্রেমাদাসা নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বলে আরেক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দলগুলো মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পদে তাদের প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেবে; ওই প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে ২০ জুলাই, বুধবার আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। যিনি জিতবেন, তিনিই ২০২৪ সাল পর্যন্ত গোটাবায়ার বাকি থাকা মেয়াদ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
কোভিড মহামারির ধাক্কা ও রাজাপাকসে সরকারের সময়ে কর কর্তনের ফলে লঙ্কান জনগণকে এখন ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
৫০ শতাংশ ছাড়ানো মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতির কারণে ত্যক্ত হাজার হাজার নাগরিক কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে দ্বীপদেশটির ক্ষমতা থেকে রাজাপাকসে পরিবারকে হটিয়েছে। তারা এখন রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহকেও সরাতে চায়।