‘যৌনদাসী’ হতে বাধ্য করা হয় : ইসরায়েলের সাবেক নারী কারারক্ষী
ইসরায়েলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত কারাগার গিলবোয়ায় নারী কারারক্ষীদের জোরপূর্বক ‘যৌনদাসী’ হিসেবে কাজে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ এ বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার আশ্বাস দিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে কারারক্ষীদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি আজ সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
গিলবোয়া কারাগারের এক নারী নিরাপত্তাকর্মী গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছেন, ফিলিস্তিনি এক বন্দির দ্বারা উপর্যুপরি ধর্ষণ এবং কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের ‘যৌনদাসী’ হিসেবে ব্যবহারে বাধ্য করেছে তাকে।
নারী কারারক্ষী বলেছেন, ‘কারাগারেরই ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আমাকে ফিলিস্তিনি বন্দির হাতে তুলে দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা নিজেকে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমি ধর্ষিত হতে চাইনি, বারবার নির্যাতনের শিকার হতে চাইনি।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা সংবলিত এই গিলবোয়া কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে যায়। পরে জানা যায়, তারা কারাগারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ফাঁকফোঁকর ব্যবহার করে পালাতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার পর কারাগার কর্তৃপক্ষের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়।
পরে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে গিলবোয়া কারাগারে ধারাবাহিক জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করার খবর উঠে আসে।
ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিসের কমিশনার (আইপিএস) কেট পেরি’র সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ। আর যাতে কখনোই এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে ইসরায়েলের কারাগারের নারী কর্মীদের জোরপূর্বক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলাপ-আলোচনায় আদালতের বিশেষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।