ইয়েমেনে আল-কায়েদার হামলা, নিহত ২৭
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আল-কায়েদা দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালালে ২৭ জন নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে ২১ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা এবং বাকি ছয় জন আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখার সদস্য। ইয়েমেনের সরকার ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে দ্য ডন ও এএফপি।
ওই সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবিয়ান প্রদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত-প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি বেল্ট নামক একটি গ্রুপের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা করে। এতেই এই প্রাণহানি হয়।
আল-কায়েদা ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে একই প্রদেশে অপহরণ করা জাতিসংঘের একজন কর্মীর একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করে। আর সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইয়েমেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে ‘এক কর্মকর্তাসহ (সিকিউরিটি বেল্ট) ২১ জন এবং আল-কায়েদা যোদ্ধাদের মধ্যে ছয় জন নিহত হয়েছে’। দুই নিরাপত্তা সূত্র নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা।