কিয়েভে ড্রোন হামলা, নিরাপদ আশ্রয়ে বাসিন্দারা
ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর আকাশ পথে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর আজ শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সাইরেনগুলো বেজে ওঠে আর বিমান হামলা থেকে নিজেদের বাঁচাতে অধিবাসীদের নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে যেতে আবেদন জানায় কর্তৃপক্ষ।
রাত ২টার পর কিয়েভের সিটি গভর্নমেন্ট টেলিগ্রাম মেসেজ অ্যাপ থেকে সতর্ক বার্তায় অধিবাসীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আবেদন জানায়।
কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা জানান, শহরে ড্রোন হামলা চলছে। কিয়েভ থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি এলাকা থেকেও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ও বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায় কিয়েভ, চেরকাসি ও কিরোভোরাড অঞ্চলে সম্ভাব্য ড্রোন হামলার বিষয়ে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চল কমান্ড জানায় বিমান বিধ্বংসী মিসাইলের আঘাতে জাপোরিঝিয়া ও দিনিপ্রপেত্রোভস্ক অঞ্চলে ১০টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিমান হামলায় প্রধান লক্ষবস্তু করা হচ্ছে জ্বালানি অবকাঠামোকে। এর ফলে লাখ লাখ লোক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘর গরম করতে না পেরে সীমাহীন কষ্টে সময় পার করছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি ভিডিও ভাষণে জানিয়েছেন দেশটির মধ্য, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিামাঞ্চলীয় এলাকায় ৫৪টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। জেলেনস্কি স্বীকার করেন দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বৃহস্পতিবারের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে নতুন বছরের আগে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন বর্বরতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।