অবশেষে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলছে চীন
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে চীন। তবে, সম্প্রতি সময়ে লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে শি জিন পিং প্রশাসন। এবার পর্যকটদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিতে যাচ্ছে তারা। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমান্ত খুলে দিতে যাচ্ছে চীন। তিন বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১৫ মার্চ থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য পুনরায় ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে আসা ও মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী ঘোষণার পরই এ খবর সামনে এলো।
আগামী ১৫ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশের চীনা দূতাবাসগুলোতে আবেদন করতে পারবে পর্যটকরা। ভিসার আবেদন গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে দূতাবাসকর্মীদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বিবিসি আরও বলছে, হাইনান ও সাংহাই প্রদেশের বিলাসবহুল ক্রুজ শিপ ভ্রমণে পর্যটকরা পাবেন ভিসা ছাড়াই দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ। এ ছাড়া হংকং ও ম্যাকাওয়ের ট্যুর গ্রুপগুলোকেও দেওয়া হবে বিনা ভিসায় প্রবেশের অনুমতি।
২০২০ সালের ২৮ মার্চ পর্যটকদের জন্য নিজেদের সীমানা বন্ধ করেছিল চীন। ওই সময় যেসব পর্যটকের চীনা ভিসা ছিল, তারা নতুন করে ভিসা পাওয়ায় অগ্রাধিকার পাবে।
মহামারির আগে প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি পর্যটক চীনে ভ্রমণ করত। তবে, করোনার জন্য কঠোর বিধিনিষেধ তাদের পর্যটক শিল্পকে জোরেশোরে ধাক্কা দেয়। কমে যায় পর্যটকের সংখ্যা।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র তিন শতাংশ, যা দেশটির অর্ধশত বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতেই দেশটির এমন সিদ্ধান্ত বলেই মত বিশ্লেষকদের। মহামারি পরবর্তী স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে এটিকে প্রথম এবং বড় পদক্ষেপ বলেও মনে করছেন তারা।