খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে পদদলিত হয়ে পাকিস্তানে ১১ নারী-শিশুর মৃত্যু
পবিত্র রমজান উপলক্ষে পাকিস্তানের করাচিতে একটি কারখানায় বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে হুড়াহুড়িতে পদদলিত হয়ে ১১ জন মারা গেছে। নিহতরা সবাই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে। করাচি পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের বরাতে আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
পুলিশ কর্মকর্তা মুগেরস হাশমি বলেন, ‘শুক্রবারের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহের জন্য ওই কারাখানার বাইরে শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ও একে অপরকে ধাক্কা দিতে থাকে। এতে কয়েকজন পার্শ্ববর্তী ড্রেনে পড়ে যায়।’
স্থানীয়রা জানান, ড্রেনের পাশেই একটি দেওয়াল ধসে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতদের মধ্যে আটজন নারী ও তিনজন শিশু।
মুগেরস হাশমি জানান, ওই কারখানার মালিক খাদ্যদ্রব্য বিতরণের ব্যবস্থা করেন। তবে, এ নিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশকে কিছুই জানায়নি। পুলিশকে জানালে সেখানে নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হতো বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির এ ঘটনায় তদন্ত কর হবে বলেও জানান প্রদেশটির এই বাসিন্দা।
আল-জাজিরা বলছে, সপ্তাহখানেক আগে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। পবিত্র এই মাসে অনেকেই গরিবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করছে। খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে দেশটিতে। তবে, করাচির ঘটনাটিতে হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আরসালান আল-জাজিরাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই কারখানাটির সামনে মানুষ জড়ো হতে থাকেন। কী কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানি না। তবে, আমি কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
নগদ অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তান তার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। জীবনযাত্রার সংকট আরও খারাপ হওয়ার কারণে লাখ লাখ মানুষ খাবারের জন্য লড়াই করছে। আইএমএফের কাছে ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চাইলেও দেশটিকে ঋণ দিতে নানান শর্ত জুড়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। গত নভেম্বরে ঋণ দেওয়া স্থগিত করলেও পরে কিছু শর্ত পূরণ করায় ১১০ কোটি ডলার দিয়েছে আইএমএফ।