তারুণ্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ১১১ বড়ি খান যে ধনকুবের
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে আসে পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনকে রুখতে ও নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কত কিছুই না করে মানুষজন। সেই পথেই হাঁটছেন মার্কিন ধনকুবের ব্রায়ান জনসন। সৌন্দর্য ধরে রাখতে বায়ো-হ্যাকিংয়ের পেছনে বছরে ২০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করছেন এই ধনকুবের। এমনকি, তারুণ্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ১১১টি বড়ি খান তিনি। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রায়ান জনসন। খবর এনডিটিভির।
বায়ো হ্যাকিং মানে, প্রযুক্তিকে নিজের শরীরের সঙ্গে আত্মস্থ করা। শরীর বা মস্তিষ্ক যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য কিছু ডিভাইস দেহে স্থাপন করা হয়। শরীরের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে অগ্রিম বার্তা দিবে। আর এতেই বায়ো হ্যাকিং নেওয়া ব্যক্তি অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে পারবে।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ব্রায়ান জনসন তার পুরো শরীরকে একটি অ্যান্টি-এজিং অ্যালগরিদমে পরিণত করতে চান। ৪৬ বছর বয়সী এই মার্কিনির লক্ষ্য, তার দেহ ও অঙ্গগুলো যেন ১৮ বছর বয়সীদের মতো দেখতে ও কাজ করে। প্রতিদিন রাত ১১টার দিকে এই ধনকুবের রাতের খাবার খান।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কেরনেলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ৩০ বছর বয়সে সাফল্য পান। ওই সময় তিনি তার পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানি ব্রেইনট্রি পেমেন্ট সলুশন ই-বের কাছে ৮০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।
ধনকুবের ব্রায়ান জনসন একটি বৈদ্যুতিক অডি গাড়ি ব্যবহার করেন। লস অ্যাঞ্জেলসের রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার বেগে গাড়িটি চালান তিনি। গাড়ির চালকের আসনে বসার আগে তিনি নিজেকে বলেন, ‘গাড়ি চালানো আমার করা সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ।’
নিজের কিশোর ছেলের রক্ত নিজ শরীরে নিয়েছেন ব্রায়ান। এমনকি, শরীরে চর্বি জমেছে কি না বা অন্য কোনো রোগ বাসা বাধছে কি না তা জনতে প্রতিদিন শতাধিক করেন এই মার্কিন ধনকুবের। প্রতিদিন ৩০ জন চিকিৎসক তার শরীর পরীক্ষা করেন।