বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের জনগণই দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলেও মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘মি. মিলার, আমার নাম জ্যাকব মিল্টন। বাংলাদেশের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করি এবং এর নাম উই আর দ্য পিপল। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ঢাকা গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। খুব শিগগিরই এটি গাজা উপত্যকার মতো হয়ে যাবে, যদি না অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ, যেখানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠে যখন কি না আমেরিকা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভূমিকা পালন শুরু করে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কাজ করছে। কেন মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘অল রাইট, লেট মি (ঠিক আছে, আমাকে বলতে দিন)।’ এ সময় ওই সাংবাদিক ফের প্রশ্ন করেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি বিশ্বাস করে, ভারতের ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশে কিছু করছেন?’
উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি অনেকবার যা বলেছি, তা-ই বলতে চাই–আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ তার জনগণের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিত।’
এরপর ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আমার আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে, প্লিজ। ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আপনি একটির জায়গায় তিনটি প্রশ্ন করেছেন। আচ্ছা, বলুন।’
মিলারের সম্মতি পাওয়ার পর বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক বলেন, ‘ধন্যবাদ, মিলার। সংলাপ করার জন্য বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছেন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। কিন্তু, অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় সংলাপ কীভাবে হবে? এবং আমি ভাবছি, বিরোধী দলের সেই চিঠি কে নেবে, যেখানে সরকার বিরোধীদের ক্র্যাকডাউন (ধরপাকড়) করছে। ক্ষমতাসীন সরকারের এই ক্র্যাকডাউন অব্যাহত রয়েছে এবং অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এমন পরিস্থিতিতে সংলাপ কীভাবে হবে?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং আমি তা নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব। বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না। আমরা নির্দিষ্ট কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’