‘পাঠ্যবইয়ে ডেটিং’ বিষয়ে মুখ খুলল সিবিএসই
ভারতে নবম শ্রেণির বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের অধ্যায় যোগ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছে দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। তারা বলছে, বোর্ডকে জাড়িয়ে যে তথ্য প্রচার হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’। তারা বলছে, এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, অথচ বইটি তাদের প্রকাশিত না। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে বইটিকে ভুলভাবে সিবিএসইয়ের প্রকাশনা বলে দায়ী করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বইটিতে ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনের ওপর ‘আপত্তিকর’ কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে, বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। বোর্ডের দাবি, এটি তাদের প্রকশনা না।
এক্সে সিবিএসই এক পোস্টে বলেছে, ‘গণমাধ্যমের একটি অংশের প্রতিবেদনে বইটি সিবিএসই থেকে প্রকাশিত বলে ভুলভাবে উপস্থান করা হয়েছে, যেখানে ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে বইটির অংশ ভাইরাল হয়েছে তা ‘এ গাইড টু সেলফ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপ্লইমেন্ট’ শিরোনামের। এটি লিখেছেন গগন দ্বীপ কওর, যা জি রাম বুকস প্রাইভেট লিমিটেড এডুকেশনাল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত। সিবিএসই এ ধরনের কোনো বই প্রকাশ করেনি, এমনকি কোনো প্রাইভেট প্রকাশনাকে এমন বই প্রকাশের জন্যও বলেনি।’
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি বলেছিল, যেকোনো বয়সেই প্রেম বিষয়টি বুঝেশুনে নিরূপণ করা কঠিন। আর তা যদি হয় কৈশরে, তবে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, এই বয়সী কিশোর-কিশোরীরা সব কিছু প্রেম-রিলেশন-ডেটিংয়ের বিষয়গুলো খুলে বলতে দ্বিধায় ভোগে। কখনও কখনও তারা অতি উৎসাহীও হয়ে পড়ে। এসব বিষয় তুলে ধরে দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) নবম শ্রেণির বইয়ে যুক্ত করেছে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশনশিপ’ নামের এক অধ্যায়। সেই অধ্যায়ে ‘গোস্টিং’, ‘ক্যাটফিশিং’ ও ‘সাইবারবুলিং’–এর মতো শব্দগুলোরও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে ইন্ডিয়া টুডেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বইয়ে ‘ডেটিং অ্যান্ড রিলেশন’ যুক্ত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
এক্সে ভাইরাল দুটি পোস্ট যুক্ত করে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নেটিজেনদের নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অনেকে নিজেদের কৈশরের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা কমেন্টে তুলে ধরেছেন। অনেকেই বিষয়টিকে ইতিবাচক নিয়েছে। তাদের মতে, শিশুদের শুরু থেকেই সব ধরনের নেতিবাচক বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া উচিত। এর ফলে পুরো বিষয় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে পারে।
ওই পোস্টে অনেকে বইটির এই অধ্যায় নিয়ে সমালোচনাও করছে বলে জানায় এনডিটিভি। বলা হয়, অনেকে এটি সত্য কি না, তা কমেন্টে জানতে চেয়েছে।