নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যা বলছে বিশ্ব সম্প্রদায়
কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন গত এক দশকে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেও তিনি যখন ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন, তখন সুস্থ ও হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যুর সংবাদ আসে। কারা কর্তৃপক্ষই নাভালনির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে সরব হয়ে ওঠে বিশ্ব। অনেকেই তার মৃত্যুর দায় চাপান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর। খবর বিবিসির।
দেশটির রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কট্টর সমালোচক হিসেবে দেখা হতো নাভালনিকে। রাশিয়ার একটি আদালত তাকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, নাভালনির মৃত্যুর ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আলোচনা ও সমালোচনায় নামে। এই মৃত্যুর পেছনে রুশ কর্তৃপক্ষই মূলত দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন, ইউরোপিয়ান কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন দের লিয়েন। আর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, পুতিনই হত্যা করেছেন নাভালনিকে। সাহস প্রদর্শনের মূল্য জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে তাকে, এমন মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। ফ্রান্স থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষকে নাভালনির মৃত্যুর জন্য বড় দায় বহন করতে হবে।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের শেষের দিকে নাভালনিকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর কারাগার হিসেবে পরিচিত আর্কটিক পেনাল কলোনিগুলোর একটিতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ইয়ামালো-নেনেটস্ জেলার কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল শুক্রবার হাঁটাহাঁটি করার পর অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। সে সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জরুরি চিকিৎসক দলকে ডাকা হলে তারা নাভালনির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনো চেষ্টাই আর কাজে আসেনি। ‘জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা ওই কয়েদিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছেন তারা।’
নাভালনির আইনজীবী লিওনিড সলোভিয়ভ রুশ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি এখনই কোনো মন্তব্য করবেন না। যদিও নাভালনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী লিওনিড ভলকভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘রুশ কর্তৃপক্ষ একটি স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছে যে, তারা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে কারাগারে হত্যা করেছে। আমাদের কাছে এটি নিশ্চিত করার বা প্রমাণ করার কোনো উপায় নেই যে এটা সত্য নয়।’