বিদ্যুতের খরচ কমাতে জেনে নিন ৭ উপায়
দিন দু‘য়েক ধরে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম কিন্তু বিদ্যমান রয়েছে। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে বিদ্যুতের ব্যবহার। এজন্য মাসের শেষে বিল হাতে নিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। কেবল এসি, ফ্রিজের ব্যবহার বাড়লেই কিন্তু বিদ্যুতের খরচ বাড়ে না। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে বদল আনলেও কিন্তু মাসের শেষে বিদ্যুতের বিলে খরচ কম দেখা দিতে পারে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বিলের খরচ যেমন কমবে, তেমনই রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। শুধুমাত্র বাতি-ফ্রানের ব্যবহার কমানোই নয়, খরচ বাঁচাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু কৌশল। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কৌশলগুলো।
১. মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস নেই অনেকেরই। এই ভুলে বাড়ে বিদ্যুতের বিল। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এতেও অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
২. ঘরে সিএফএল ও এলইডি বাতি লাগাতে পারেন। এই বাতিতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। সাধারণ বাতিতে আলোর জন্য ফিলামেন্ট ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে এলইডি বাতিতে থাকে সার্কিট। ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিটে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কম হয়।
৩. বারবার এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। যতবার এসি বন্ধ করে চালাবেন, তত বেশি ইউনিট খরচ হয়। এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখাই সবচেয়ে ভাল। বাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রে এনার্জি সেভার মোড থাকলে, তা ব্যবহার করবেন।
৪. ফ্রিজের ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবার-দাবারও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। ফ্রিজে খুব গরম খাবার রাখবেন না। একটু ঠান্ডা করে তারপর তুলুন ফ্রিজে। তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
৫. মনে রাখবেন, বাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যে এসি মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ভেন, ফ্রিজ, গিজার, বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে। সামান্য টাকা বাঁচাতে সার্ভিসিং করান না অনেকে। এতে কিন্তু পরবর্তী সময়ে খরচটা উল্টে অনেক বেশি পড়ে যায়।
৬. পুরনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র তুলনামূলকভাবে বিদ্যুতের খরচ বাড়ায়। তাই ১০-১৫ বছরের বৈদ্যুতিক যন্ত্র একবার খারাপ হয়ে গেলে ওইটা ঠিক না করিয়ে নতুন যন্ত্র ব্যবহার করাই ভাল।
৭. শুধু বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার না করে কিছু সৌর বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- সোলার কুকার, সোলার চিমনি ও সোলার চার্জারের মতো দরকারি যন্ত্রপাতি।