ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে
ফ্রান্সের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিতে দেশটির ভোটাররা আজ রোববার (৭ জুলাই) আইনসভার সদস্য নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট দিচ্ছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে অতি-ডানপন্থিরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে মধ্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি যে বাজি ধরেছিলেন, তা উল্টো ফলই দেখাচ্ছে জুনের শেষভাগে প্রথম দফার নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ের মাধ্যমে।
৩০ জুনের প্রথম দফার নির্বাচনে শীর্ষ অবস্থানে চলে আসে তিনবারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরিনা লা পেনের ন্যাশনাল র্যালি (আর এন) পার্টি। মেরিনা পেন খুবই আশাবাদী, তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবে এবং তার সঙ্গী ও পার্টির নেতা ২৮ বছর বয়সী জর্ডান বারডেলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
ন্যাশনাল র্যালি পার্টিকে ঠেকাতে গত সপ্তাহে দুই শতাধিক আসনে মধ্য ও বামপন্থিদের কৌশলগত ভোট-চুক্তির পাশাপাশি ডানপন্থিদের বিরোধিতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রিপাবলিকান ফ্রন্ট গঠনের কারণে সে সম্ভাবনা বেশ হুমকির মুখেই পড়েছে। ২০০২ সালে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমনই এক জোট গঠনের কারণে লা পেনের বাবা জাঁ-মারি হেরে গিয়েছিলেন জ্যাক শিরাকের কাছে।
এসব কারণে ন্যাশনাল র্যালি ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় ২৮৯টি আসনের চেয়ে বেশ কিছু কম আসন পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। যদিও পার্লামেন্টে তারা সবচেয়ে বড় দল হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফলাফল যদি এমন হয় তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ন্যাশনাল র্যালির বিরুদ্ধে বৃহত্তর কোয়ালিশন গঠন করতে পারেন এবং গ্যাব্রিয়েল আত্তালকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেখে দিতে পারেন। সেটি হলে তা ফ্রান্সের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অচলাবস্থার চিত্রকেই তুলে ধরবে।
সর্বশেষ মতামত জরিপে দেখা যায়, ন্যাশনাল র্যালি ১৭০ থেকে ২১০টি আসন পেতে পারে, দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে নিউ পপুলার ফ্রন্ট পেতে পারে ১৪৫ থেকে ১৮৫টি আসন এবং ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থিরা পেতে পারে ১১৮ থেকে ১৫০ টি আসন।