ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ খামেনির
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই সদস্যসহ দেশটির তিনজন সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) হানিয়াকে হত্যার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি এই নির্দেশ দেন।
ইরান ও হামাস হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, সে বিষয়ে স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইহুদি রাষ্ট্রটি। ইসরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, বিদেশে শত্রুকে হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরায়েলের, এর মধ্যে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সামরিক কমান্ডারও রয়েছেন।
গত ১০ মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ চললেও ইরান এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই অঞ্চলে তার মিত্রদের মাধ্যম সরাসরি হামলা চালিয়ে এবং পরোক্ষ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল দেশটি। তবে দেশ দুটি সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে আসছিল।
গত এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানি সামরিক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এরপর প্রতিশোধমূলক তৎপরতা হিসেবে ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এক ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়, ইরান কতটা শক্তি নিয়ে এই হামলা চালাবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে ইরানি সামরিক কমান্ডাররা জানিয়েছেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের রাজধানীর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হতে পারে। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বেসামরিক অবস্থান হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে না।