সামরিক বাহিনীর সংবিধানের পক্ষে থাই জনগণের রায়
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/08/photo-1470645201.jpg)
থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর লেখা খসড়া সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির জনগণ। গতকাল রোববার থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গণভোটের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায়, ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, গতকাল গণভোটে পাঁচ কোটি ভোটারের কাছে নতুন সংবিধান সম্পর্কে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়। বাড়তি প্রশ্ন হিসেবে ছিল সিনেটের পক্ষে জনগণের মতামত।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, ৮০ শতাংশ ভোটার গণভোটে অংশ নিয়েছেন। তবে অন্যান্য সূত্রমতে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫৫ শতাংশের মতো। আর থাইল্যান্ডের বড় রাজনৈতিক দলগুলো এরই মধ্যে নতুন সংবিধান বাতিল করেছে।
গণভোটের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আন্দোলন নিষিদ্ধ ছিল। এমন আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, গণভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গতকাল থাইল্যান্ডজুড়ে দুই লাখের মতো পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দেশের কোথাও বিক্ষোভের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
থাইল্যান্ডের গণভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি চেয়েছিল স্বাধীন পর্যবেক্ষক কয়েকটি সংগঠন। তাদের এ কাজে অনুমোদন দেয়নি থাই নির্বাচন কমিশন।
২০১৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এ সময় তারা পুরোনো সংবিধান বাতিল করে।
সামরিক বাহিনীর লেখা সংবিধানের পক্ষে থাকা ব্যক্তিদের দাবি, নতুন সংবিধান দেশে স্থিতিশীলতা আনবে। তবে বিশ্লেষকদের দাবি, এটি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে।
বিবিসি জানায়, আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা, যা হবে নতুন সংবিধানের আলোকে।