চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যায় চিকিৎসা কী?
চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যার বেশ ভালো চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৪৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মতিউর রহমান মোল্লা। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের ওরাল অ্যান্ড মেক্সিলোফেশিয়াল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনারা কী করেন?
উত্তর : প্রথম দিকে আমরা কয়েকটি পর্যায়ে চিকিৎসা করি। প্রথমে আমরা তাকে বললাম, জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করো। পাশাপাশি বলি একটু ফিজিওথেরাপি নিতে। যেকোনো প্রদাহ ব্যথা হলে আমরা স্যাঁক দিই, যেমন মাজার ব্যথা। পায়ের ব্যথা আমরা স্যাঁক দিতে বলি। এরপর কিছু ওষুধ দেব, অ্যান্টিইনফ্লামেটরি জাতীয়। ব্যথানাশক ওষুধ দিই। প্রয়োজনে মাসেল রিলাক্সেশন দিই। এতে পেশিগুলো শিথিল হয়ে যাবে। আমি আরো বলি, দরকার হলে যোগব্যায়াম করেন। মেডিটেশন করেন। যাতে মনের চাপ কমে যায়। এতে না হলে টিএমজি বাইট অ্যাপ্লাইন্স বলে একটি কথা আছে। সেটি দিই। এটি লাগিয়ে রাতে যদি সে ঘুমাতে পারে, সারা রাত বিশ্রাম হবে। দেখা যায় অনেক পরিবর্তন হয়ে আসে। এই অ্যাপ্লাইন্সে কেবল রাতের বেলা ব্যবহার করবে। এতেও না হলে আর্থোসিনটেসিস বলে একটি কথা আছে, সহজে লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে জয়েন্ট ক্যাভিটিতে ওয়াশ আউট করি। বের করে দিয়ে ছোট্ট একটি স্টেরয়েড যদি দিয়ে দিই, তাহলে ব্যথা তাড়াতাড়ি চলে যায়। এতেও যদি ভালো না হয়, তবে এর থেকে বেশি যে সমস্যা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে এর প্যাথলজি অন্য রকম। এখানকার যে লিগামেন্টগুলো থাকে, সেগুলো শিথিল হয়। অথবা এর সামনে যে একটি হাড় থাকে, যেটি এর সামনে আসতে বাধা দেয়, সেই হাড়টা ক্ষয় হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা একটি বোন গার্ড দিতে পারি। অথবা স্ক্রু দিতে পারি। মোটকথা, এই জয়েন্টের সামনে যদি একটি গার্ড দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সে একটি পর্যায় পর আর যেতে চাইবে না। এই সার্জারি আমাদের দেশে খুব সহজেই করছে।