টেক্সাসে গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২৬
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/11/06/photo-1509935918.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গির্জায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উইলসন কাউন্টির সাদারল্যান্ড স্প্রিং শহরের ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ২৬ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো প্রায় ২৫ জন। টেক্সাসের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা এটি।
ঘটনার পরপরই হামলাকারীও নিহত হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে, নাকি সে আত্মঘাতী হয়েছে—তা নিশ্চিত নয়।
লাস ভেগাসে একটি গানের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীর হামলায় ৫৮ জন নিহত হওয়ার এক মাসের মাথায় চার্চে এ হামলার ঘটনা ঘটল।
টেক্সাসের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রিম্যান মার্টিন জানিয়েছেন, রোববার ছুটির দিন বলে গির্জায় বেশ কিছু লোকজন ছিল। যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী লোকজন রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ১২ দিনের এশিয়া সফরে রয়েছেন। তিনি জাপান থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক টুইটে বলেছেন, ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই সাদারল্যান্ড স্প্রিংসের মানুষের সহায়ক হবেন। ঘটনাস্থলে এফবিআই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আমি জাপান থেকেই পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।’হামলাকারীর বর্ণনা দিতে গিয়ে ফ্রিম্যান মার্টিন বলেন, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী একজন শ্বেতাঙ্গ তরুণ, তার বয়স হবে ২৫-এর মতো। তার পরনে কালো রঙের পোশাক ছিল। তার নাম ডেভিন প্যাট্রিক ক্যালি।
একটি গাড়িতে করে হামলাকারী চার্চের সামনে নেমেই একটি আধুনিক এসল্ট-স্টাইল রাইফেল থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলি করতে করতেই সে চার্চের ভেতর ঢুকে পড়ে। হামলায় উপস্থিত লোকজন এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করে পালানোর চেষ্টা করেন।
হামলাকারী ক্যালি চার্চের ভেতরে গুলি চালিয়ে বাইরে বের হয়ে আবার গুলি চালায় এবং একটি গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় একজন অধিবাসী ধরে ফেলার চেষ্টা করলে রাইফেল ফেলেই সে গাড়িতে চড়ে বসে। তখন তার পিছু ধাওয়া করেন ওই অধিবাসী, পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চার্চ থেকে কিছুটা দূরে গাড়ির মধ্যে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
হামলাকারী ক্যালি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে, নাকি নিজেই আত্মহত্যা করেছে—এ ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয়।
ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের যাজক ফ্রাঙ্ক পেমোরয় এবিসি নিউজকে জানান, তাঁর ১৪ বছর বয়সের মেয়ে আন্নাবেল্লিও ওই হামলায় নিহত হয়েছে।
শেরিফ জো টেককিট জানান, আহতদের সবার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের লাশ চার্চের ভেতর, দুজনের বাইরে ও একজন হাসপাতালে মারা গেছেন।
ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের বিপরীতে একটি গ্যাসস্টেশন রয়েছে। সেখানকার ক্যাশিয়ার এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তিনি ২০টি গুলির শব্দ শুনেছেন।