আমের যত গুণ
এখন আমের মৌসুম। কাঁচা আমের মিঠা গন্ধ বাগানজুড়ে। ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত আম। প্রায় সব বয়সী মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় এই ফলটি। সহজলভ্য হওয়ায় ও প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকায় আম পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমের রয়েছে নানা গুণ।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রীষ্মকালীন ফলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া রয়েছে নানা গুণ। চলুন, একঝলকে দেখে নেওয়া যাক আমের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা—
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
আমের খোসা ও রসে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকর উপদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি নানা ধরনের জটিল রোগব্যাধি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন এ-র দারুণ উৎস
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ আমে রয়েছে বেটা-ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন ও বেটা-ক্রিপটোক্সানথিন। তাই এ ফল নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ
তাজা আম পটাশিয়ামের ভালো উৎস, হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ ভালো রাখে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে আম।
আমে রয়েছে প্রচুর আঁশ
আমে রয়েছে প্রচুর পানি। এ ছাড়া রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ। পানি ও আঁশ হজমে সহায়তাকারী।
আমের আরো গুণ
আম প্রকৃতিজাত। এটা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। গ্রীষ্মকালে যেহেতু এ ফল সহজলভ্য, সেহেতু এখনই এটি খাওয়া উত্তম।
আম সম্পর্কেও রয়েছে প্রচুর ভুল ধারণা। অনেকে মনে করেন, আম খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা ভুল ধারণা। আম ওজন বাড়ায় না। এটি অন্য অনেক ফলের মতো পুষ্টিকর, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলযুক্ত ফল। সঠিক নিয়মে খেলে এটি কখনোই ওজন বাড়ায় না।
তবে আম কখনো দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। বরং সকালের মধ্যভাগে কিংবা সন্ধ্যায় হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। আম কেটে বা কিউব করে খাওয়া উচিত, জুস করে নয়। জুস করে খেলে আঁশ চলে যায়। আর কে না জানে, আঁশ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সুতরাং, আমের মৌসুমে নিশ্চিন্তে আম খান, তবে তা অবশ্যই সঠিক নিয়মে।