সমর্থকদের প্রশংসা করে ‘নিয়মমাফিক’ ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে সমর্থকদের হামলার ঘটনার পর, জো বাইডেনের বিজয় প্রথমবারের মতো মেনে নিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প জানান, নিয়মমাফিক ক্ষমতা হস্তান্তরে তিনি বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘২০ জানুয়ারি নতুন প্রশাসন কাজ শুরু করবে। বুধবারের সহিংসতা, আইনহীনতা ও সংঘাতের ঘটনায় আমি নিজেও ক্ষুব্ধ। আমার লক্ষ্য এই ক্ষমতার পালাবদলকে মসৃণ, নিয়মতান্ত্রিক ও নির্বিঘ্ন করা।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।
ট্রাম্প বলেছেন, হামলাকারীদের থামাতে তিনি দ্রুত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন। ট্রাম্প দাবি করেন, এর পরও কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি সেনা পাঠাতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছিলেন এবং এ কারণে ভাইস প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প অবশ্য সমর্থকদের প্রশংসা করে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা কেবল শুরু হলো।’
ক্যাপিটলে গত বুধবারের হামলার ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারায় ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের প্রধান স্টিভেন সান্ড পদত্যাগ করছেন বলে খবর বেরিয়েছে। ন্যান্সি পেলোসির ফোন কল পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টিভেন।
বুধবারের নজিরবিহীন হামলার ফলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়কে অনুমোদন দেওয়ার জন্য শুরু হওয়া কংগ্রেস অধিবেশন কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং অন্য আইনপ্রণেতারা।
মার্কিন সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে অবিলম্বে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। একই আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ অনেক ডেমোক্রটিক কংগ্রেস সদস্য। এমনকি বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যও ট্রাম্পের অপসারণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ক্যাপিটলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকার সমালোচনা করেছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তারা বলছেন, ব্লাক লাইভ ম্যাটার আন্দোলনকারীদের যেভাবে পুলিশ দমন করেছে, ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের বেলায় পুলিশ কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।