কারা শিম খাবেন, কারা খাবেন না
শিম অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম খুব পরিচিত একটি সবজি। ছোট-বড় সবারই শিম খুব পছন্দের। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে শিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে শিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, শিমজাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ। যাঁরা ওজন কমাতে চান, ডায়েট প্ল্যানিংয়ে আছেন, তাঁরা এ ধরনের সবজি ডায়েটে রাখতে পারেন। পাশাপাশি এটি আমাদের কোলন ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। কারণ, খাদ্য-আঁশ যত খাব আমরা, বডিকে ডিটক্স করবে। ডিটক্স মানে আমাদের কোলন পরিষ্কার করবে। ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ইশরাত জাহান বলেন, শিমে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের চোখের সুস্থতার পাশাপাশি আমাদের চুল ও ত্বককে সুস্থ রাখে। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দুটোই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে প্রতিরোধের কাজ করে। আমাদের যত প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে, তা আমরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে পেয়ে থাকি। এ ছাড়া ভিটামিন সি ত্বকের সুস্থতা রক্ষা করে।
শিমে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। পটাশিয়াম আমাদের ব্লাড ভ্যাসেলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেশার থেকে রক্ষা করে। হার্টকেও সুস্থ রাখে। খেয়াল রাখতে হবে, শিম বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। যেকোনো খাবারই পরিমিত খেতে হবে। শিমজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে পেটে গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের কিডনি প্রবলেম আছে, যাঁদের ইচিংয়ের প্রবলেম আছে, অ্যালার্জির প্রবলেম আছে, তাঁরা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।