আদালতের রায়ে হতাশ জকোভিচ
রেকর্ডসংখ্যক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন সার্বীয় টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। কিন্তু, ভিসা জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে ভিসা চেয়ে দ্বিতীয় বারের আবেদনে হেরে গেছেন তিনি। ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে না খেলেই দেশে ফিরে যেতে হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। আদালতের রায় মেনে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে যাওয়া জকোভিচ খুব হতাশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করার জন্য তাঁর শেষ মামলায় হেরে গেছেন। ফলে, তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসিত হতে চলেছেন। ভিসা বাতিল হওয়া জকোভিচের ওপর আগামী তিন বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হতে পারে।
আগামীকাল সোমবার জকোভিচের প্রথম ম্যাচ খেলতে কোর্টে নামার কথা ছিল। কিন্তু, মামলায় হেরে যাওয়ার কারণে রেকর্ড ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের আশাও শেষ হয়ে গেল সার্বীয় তারকার।
আদালতের সিদ্ধান্তে ‘হতাশ’ জকোভিচ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন। নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমার ভিসা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পর্যালোচনায় যে আবেদন আমি করেছিলাম, আদালত তা খারিজ করে দেওয়ায় আমি সত্যিই হতাশ। এর অর্থ হচ্ছে—আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারছি না, এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারছি না। আমি আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এ দেশ থেকে আমার চলে যাওয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করব।’
আজ রোববার জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা মামলার শুনানি শেষ হয়। এর পর তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন ফেডেরাল কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। এদিন দীর্ঘ সময় ধরে জকোভিচ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন।
শুনানি শেষে তিন বিচারকের প্যানেল জানিয়ে দেয়, জোকোভিচ যে আবেদন করেছেন, তা অযৌক্তিক। অস্ট্রেলিয়ার সার্বিক কোভিড পরিস্থিতিতে সে আবেদন কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।