হাকিমির লাল কার্ডের ম্যাচে লজ্জার হার পিএসজির
লিগ ওয়ানে সময়টা ভালো যাচ্ছে না পিএসজির। একের পর এক হার সঙ্গী মেসি-এমবাপ্পেদের। এবার লরিয়াঁর কাছে লজ্জার হারের স্বাদ পেল ফরাসি জায়ান্টরা। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে পিএসজির এটি তৃতীয় হার।
গতকাল রোববার (৩০ এপ্রিল) ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ৩-১ গোলে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের। মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পেরা যখন মাঠ ছাড়ছিলেন পিএসজির সমর্থকেরা চুপ থাকবেন কেন! তারা দুয়ো দিয়েছেন নিজের দলের খেলোয়াড়দেরই।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। যার খেসারত দিতে হয় ম্যাচের ১৫তম মিনিটে। ফেভার চমৎকার ক্রসে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত এনজো লুফি। এর মিনিট পাঁচেক পরে ম্যাচের ২০তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় পিএসজি। ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আশরাফ হাকিমি।
২৯তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান এমবাপে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডকে একজন ফেলে দিলেও ফাউলের বাঁশি বাজাননি রেফারি, নির্দেশ দেন খেলা চালিয়ে যাওয়ার। গোলরক্ষক হয়তো সেটা লক্ষ্য করেননি, তিনি বল ছুঁড়ে দেন একটু সামনেই। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে বল জালে জড়ান এমবাপে।
৩৯তম মিনিটে লরিয়াঁকে ফের এগিয়ে নেন ডারলিন ইয়ংওয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মেসির দুটি শট ব্যর্থ হয় সফরকারী ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে। যার ফলে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেই দুয়ো শুনতে শুনতে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।
বিরতির পর ৫৫তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেননি বামো মেইতি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান রুইস। বুলেট গতির শট থাকেনি লক্ষ্যে। তিন মিনিট পর মেসির আরেকটি ফ্রি কিকে রামোসের হেড বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে।
এরপর ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে এমবাপের ক্রসে দানিলো পেরেইরার চেষ্টা ব্যর্থ হয় লরিয়াঁ গোলরক্ষকের মুখে লেগে। পরের মিনিটে লুফির বাঁকানো শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। একটুর জন্য আরও বাড়েনি ব্যবধান।
৮৮তম মিনিটে আরেকটি পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ান দাইয়েং। তার প্রথম প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। কিন্তু দ্বিতীয় চেষ্টায় ঠিকই জাল খুঁজে নেন ডাইয়েং। এই হারে ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অলিম্পিক লিওঁ।

স্পোর্টস ডেস্ক