কিংবদন্তিদের কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা

টেনিসের উন্মুক্ত যুগের জীবন্ত কিংবদন্তি বলা হয় মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাকে। কেবল নিজের সময়ের নয়, টেনিস ইতিহাসের সর্বকালের সেরা তারকা এই নারী। বিশ্বের সাবেক নম্বর ওয়ান বিলি জিন কিং তাকে ‘কিংবদন্তিদের কিংবদন্তি’ বলে অভিহিত করেন। ১৯৮৫ সালের আজকের দিনেই মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা তাঁর শততম সিঙ্গেল টাইটেল জিতে নাম লেখান জিমি কনর্স ও ক্রিস ইভার্ট লয়েড এর পাশে। ওয়াশিংটন টেনিস টুর্নামেন্টে বুলগেরিয়ার ম্যানুয়েলা মালিভাকে ৬-৩ ও ৬-২ এ হারিয়ে ইতিহাস গড়েন এই টেনিস রানি।
মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার জন্ম ১৮ অক্টোবর, ১৯৫৬। চেকোস্লোভাকিয়ার প্রাগে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত এই আমেরিকান তারকা জয় করেছেন টেনিসের সব কিছু। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন ১৮টি, ডাবলসে ৩১ আর মিশ্র দ্বৈতে ১০ বার গ্রান্ডস্ল্যাম বিজয়ী হয়েছেন তিনি। ১২ বার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে নয়বারই শিরোপা জেতেন মার্টিনা। ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে টানা ছয়বার উইম্বলডন খেতাব জেতেন তিনি। সে বছরগুলোতে তার জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানটি ছিল, ৮৬-১, ৭৮-২, ৯০-৩ ও ৮৯-৩!
আধুনিক টেনিসের যুগে এককে সর্বাধিক ১৬৭ এবং দ্বৈতে ১৭৭টি টাইটেল শিরোপা জিতে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেছেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। এ ছাড়া টানা ৭৪টি খেলায় জয়ী হওয়া প্রথম নারী তারকা তিনি। স্টেফি গ্রাফের পর দ্বিতীয় নারী টেনিস তারকা হিসেবে টানা ১১ গ্রান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠেন তিনি। ১৩ বার ফাইনালে ওঠেন গ্রাফ। নারী দ্বৈতে প্যাম শ্রিভারের সঙ্গে ১০৯ ম্যাচে জেতেন মার্টিনা।
তবে ব্যক্তিগত জীবনটা প্রথম থেকেই এলোমেলো ছিল এই টেনিস রানির। মাত্র ১৯ বয়সেই ভাগ্য গড়তে নিজের দেশ ছেড়ে চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে আক্রান্ত হন ক্যানসারে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ায় সুস্থ হয়ে ওঠেন দ্রুতই।
সমকামী এই তারকা বিয়ে করেছেন ১৯৯১ সালের মিস ইউনিভার্স এর রানার্সআপ জুলিয়া লেমিগোভাকে। বর্তমানে জুলিয়ার আগের পক্ষের দুই মেয়েকে দত্তক নিয়ে বেশ ভালোই আছেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা।