ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান
দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২৬.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে ভারত। ১৯১ রানের বড় জয়ে শিরোপার উৎসবে মেতে উঠেছে পাকিস্তান।
১৩ বছর পর যুব এশিয়া কাপের দ্বিতীয় শিরোপা পেল পাকিস্তান। এর আগে ২০১২ সালে ম্যাচ ড্র হওয়ায় শিরোপা ভাগাভাগি করেছিল এই ভারত-পাকিস্তানই। এবার এককভাবে শিরোপা নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। এতে বড়দের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়ল।
পাকিস্তানের এই শিরোপার নায়ক ওপেনার সামির মিনহাজ। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলেন তিনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি মিসের কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও জয়ের খুশি সেই আক্ষেপ কমিয়ে দেবে। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রান করে ফেরেন তিনি। যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৩১ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ১৮ রান করে ফেরেন ওপেনার হামজা জাহোর। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খানকে নিয়ে ৯২ রানের জুটি গড়েন সামির। ৩৫ রান করে উসমান ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেট জুটিটা আরও বড়। আহমেদ হুসাইনকে নিয়ে এবার ১৩৭ রানের জুটি গড়েন সামির। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আহমেদ হুসাইন ফেরেন ৫৬ রানে।
এরপর আরও কিছুটা সময় উইকেটে ছিলেন সামির। যত সময় তিনি ছিলেন পুরো সময়ই শাসন করেছেন ভারতীয় বোলারদের। নিয়মিত হাঁকিয়েছেন চার-ছক্কা। আগ্রাসী ব্যাটিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ছুটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। এর আগেই অবশ্য ফিরতে হয় তাকে। ১৭ চার আর ৯ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি।
এরপর আর অবশ্য পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। সেটি নাহলে হয়তো চারশ ছুঁয়ে যেত পাকিস্তানের রান। তবুও যুব এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৪৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে পিষ্ট হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় ওভারেই ভারত প্রথম উইকেট হারায়। ৭ বলে ২ রান করা আয়ুশ মাহাত্রে শিকার হন আলী রেজার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত।
আয়ুশ ফিরলেও একপ্রান্তে ঝড় তোলার আভাস দেন বৈভব সূর্যবংশী। তাকেও ফিরিয়ে জবাব দেন আলী রেজা। ১০ বলে ২৬ রান করা এই ওপেনারকে ফারহান ইউসুফের ক্যাচ বানান তিনি।
তিন নম্বরে নেমে প্রতিরোধের চেষ্টা করা অ্যারন জর্জ ফেরেন ৯ বলে ১৬ রান করে। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ইতিহাস গড়া অভিজ্ঞান কুন্ডুও এদিন দায়িত্ব নিতে পারেনি। ২০ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন তিনি।
১০ নম্বর ব্যাটার হিসেবে নেমে ঝড় তুলতে থাকেন দীপেশ দেবেন্দ্রন। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের লেজ কেটে দেন আলী রেজা। ১৬ বলে ৩৬ রান করা দেবেন্দ্রনকে ক্যাচ বানান আহমেদ হুসাইনের।

স্পোর্টস ডেস্ক